বাকেরগঞ্জে আয়েশা গোমেজের অবৈধ চোলাই মদের থাবায় ধ্বংসের পথে যুব সমাজ
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি 4TV
বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে চোলাই মদের স্পট আছে প্রায় ১০ টি। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিকশাযোগেও মাদকের বেচাকেনা হয়ে থাকে। এ ইউনিয়নে চোলাই মদের বিস্তার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের মাঝ গ্রামের বাসিন্দা রেমন গোমেজের স্ত্রী আয়েশা গোমেজের বাড়িতে গড়ে উঠেছে দেশীয় চোলাই মদের কারখানা। এর ফলে যুব সমাজ দিন-দিন ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। মাদকাসক্তির কারণে সামাজিক অপরাধ, পারিবারিক কলহ, খুনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এক সময় মদসহ বিভিন্ন মাদক সেবন উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে মাদক সহজলভ্য হওয়ার কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত যুবকদের মধ্যেও এর বিস্তার ঘটছে। শহরের পাশা-পাশি গ্রামাঞ্চলের অনেকেই গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে। কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী নারী-পুরুষও বাদ যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, আয়েশা গোমেজের বাড়িতে দেশীয় চোলাই মদের কারখানা করে মদ তৈরি করে বিক্রি করছে। মাদকের এত বিস্তার ঘটলেও তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ ততটা দৃশ্যমান হচ্ছে না। প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই দুর্বৃত্তরা মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগণ অনেকবার এই গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান গড়ে তুললেও কোনো ফল হয়নি। তারা অনেকটা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক সা¤্রজ্ঞী আয়েশা গোমেজকে পুলিশ একাধিকবার গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করলেও আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে সে প্রকাশ্যে চালচ্ছে দেশীয় মদ চুয়ানির অবৈধ ব্যবসা। আয়েশা গোমেজের অবৈধ মদের ব্যবসা বন্ধ করে যুব সমাজকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকার সচেতন নাগরিক।