গাজীপুর সিটিতে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা।
ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।সকালে গাজীপুরে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বেড়ে যায়।
রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করছেন আট হাজার ৭০৮ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে মোট ৪২৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল করিম ও বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী হান্নান মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ সময় শিববাগি-শিমুলতলী সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
দুপুর ১২ টায় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল।
পাঁচ ছয়টি কেন্দ্রে অনিয়মের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কেন্দ্রে ব্যালটে জোরপূর্বক সিল মারা, জাল ভোট দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো নগরী। শহরের প্রবেশ পথগুলোতে টহল দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
শহরে টহল দিচ্ছে র্যা ব, পুলিশ, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের টহল টিম। যানবাহন চলাচলের ওপর আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শহরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে স্থাপিত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। গত কয়েকটি সিটি করপোরেশনের মতো গাজীপুরেও ছয়টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তিনটি কেন্দ্র রয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়।
২০১৩ সালে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আয়তন ৩২৯ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ ও নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি। যার মধ্যে ১৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড।
গত ৩১ মার্চ গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী গত ১৫ মে একসঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সীমানা নিয়ে সাভার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সুরুজের এক মামলায় আদালত গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। পরে নির্বাচন কমিশনের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সে বাধা কেটে যায়। ইসি ২৬ জুন নতুন করে গাজীপুরে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।