২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পাস
জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে ৪৪৮টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনা হয়। সরকার ও বিরোধীদলের হুইপের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ৫টি মঞ্জুরি দাবি আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। ১ জুলাই থেকে বাজেট কার্যকর হবে।
গত ৭ জুন সংসদে উত্থাপন করার পর, ১০ জুন থেকে প্রস্তাবিত বাজটের ওপর আলোচনা শুরু হয়। বুধবার সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাপনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আলোচনা শেষ হয়।সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার পর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ মিলে ৫৯টি মঞ্জুরী দাবি উত্থাপান করে। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দাবির ওপর আনীত ছাটাই প্রস্তাবের ওপর জাতীয় পার্টিসহ বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন।
এবারের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। ফলে বাজেটে ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
এদিকে, অনুদানসহ মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এতে ঘাটতির পরিমাণ দাড়াচ্ছে ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।
মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা, এনবিআর বহির্ভূত কর খাতের আয় ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা এবং কর ছাড়া রাজস্ব আয় ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
বৈষম্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৭১ হাজার ৮৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন নিতে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১৮ পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে জাতীয় সংসদে কন্ঠোভোটে তা পাস হয়।