গাজীপুরে ৪৬.৫% ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের দাবি ইডব্লিওজির
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪৬.৫% ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে দাবি করেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিওজি)।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে ২৬ জুন অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সার্বিক মূল্যায়ন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির পরিচালক ড. মো. আব্দুল আলীম লিখিত বক্তব্যে মাধ্যমে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনে ১২৯টি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে ১৫৯টি অনিয়ম হয়েছে। যার মধ্যে জাল ভোট দেয়া, ভোট কেন্দ্র থেকে জোর করে পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোট গণনার সময় একজন মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তার ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
আরো বলা হয়, ৫৭টি ওয়ার্ডের ১২৯টি ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছে তারা। যেখানে ৯৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং ৮১ শতাংশ ভোট কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্ট দেখেছেন। ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ নিয়েও ইতিবাচক মূল্যায়ন করা হয়েছে।
তবে নির্বাচনে তারা নানা অনিয়মও পর্যবেক্ষণ শেষে ইডব্লিওজি পরিচালক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, ১২৯টি ভোট কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ কেন্দ্রে অনিয়ম পেয়েছেন তারা। জাল ভোট দেয়া, ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশে বাধা, পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া, ফলাফল সীটে একজন মেয়রের পক্ষে ভোটের সংখ্যা বেশি লেখার মতো অনিয়ম বেরিয়ে এসেছে তাদের পর্যবেক্ষণে।
সংস্থাটির দাবি নারায়ণগঞ্জ, কুমিলা, রংপুর সিটি নির্বাচনের চেয়ে গাজীপুর নির্বাচনে বেশি অনিয়ম হয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব অনিয়ম দূর করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন, সরকার, স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাইকে জোরালো ভূমিকা রাখার তাগিদ দিয়েছেন এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা।