ছদ্মবেশি সাত নারী ছিনতাইকারী আটক।
মোঃ আজম খাঁন/মোঃ ফেরদৌস চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে সাত ‘ভয়ঙ্কর নারী যাত্রী’কে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। যাত্রী হলেও যারা লিপ্তছিলো নানা অপরাধে।
সংঘবদ্ধ হয়ে যাত্রী সেজে বাসে উঠে ছিনতাই করাই তাদের পেশা। যারা প্রত্যেকেই নারী।
কোতোয়ালী এলাকায় একটি বাসে করে যাচ্ছিলেন রুমু নামের এক মেয়ে। কিছুদুর যেতেই দেখেন পাঁচ ছয়জন মহিলা হুড়োহুড়ি করে বাসে উঠল। এরপর বাস চলা শুরু করলেই রুমু এসব মহিলার অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পান। পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও গায়ে লেগে থাকা, ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেওয়া, কৃত্রিম ভিড় সৃষ্টি করার বিষয়টি নজরে পরে তার। এসবের ফাঁকেই হঠাৎ তিনি তার ঘাড়ে একটা স্পর্শ অনুভব করেন। হাত দেওয়ার সাথে সাথেই দেখেন তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন উধাও। সাথে সাথেই তিনি চিৎকার করে পাশে থাকা একজনকে ধরে ফেলেন। অন্য যাত্রীরা এসময় ছুটে এলে সুযোগ বুঝে কিছু মহিলা পালিয়ে যায়।
আটক ওই মহিলা সবকিছু অস্বীকার শুরু করে। এক পর্যায়ে সবাই মিলে সেখানকার টহল পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণ করে। টহল পুলিশ প্রথমেই আটককৃত মহিলার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নগরী এবং সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রা ভয়ঙ্কর করা সাত ‘ভয়ঙ্কর যাত্রী’কে আটক করে।
শুক্রবার (২৯ জুন) রাতে অভিযান চালিয়ে সীতাকুণ্ডের ফকিরহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোছাম্মদ রাহেলা (৪০), মোছাম্মদ আফিয়া বেগম (১৮), ফুলতারা বেগম (২২), শাহার বানু (৫৫), সুলতানা বেগম (২৩), নাজমা বেগম (৩৫)।এসময় ছিনতাই হওয়া চেইনটিও উদ্ধার করা হয়।
ওসি মোঃ মহসিন বলেন, গ্রেফতারকৃত সাতজনই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। সাতজনই মহিলা। সবাই যাত্রী। সদচবসময়ই যাত্রী। দিনেও যাত্রী। রাতেও যাত্রী। সারাদিনই যাত্রা’র ওপরে থাকেন তারা। কখনো বাসে। কখনো বা রাইডারে। যাত্রাতেই পার হয় তাদের রাত ও দিন। সাধারণত যেসব গাড়িতে মেয়ে কম কিন্তু ভিড় বেশি সেসব গাড়িতে উঠতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। আর সেই গাড়িতে যদি মেয়েরা দাঁড়ানো থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। এসব গাড়িতে উঠে প্রথমেই তারা দাঁড়ানো টার্গেটে থাকা মেয়েটির আশপাশ ভিড় করে এবং ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে ছিনতাই কার্যক্রম সম্পন্ন করে দ্রুত পালিয়ে যায়।