বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে যাব.গাংনীর করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুঃ আলম হুসাইন
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধি 4TV
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী দেশ ও দেশের বাইরে সুনামের সাথে নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজ করে চলেছেন। করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরে পড়া লেখার উন্নয়নের কারণে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এ বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবেও বেশ ভাল ভাবে পাঠদান করতেন শিক্ষক গণ এবং তার ধারাবাহিকতা ছিল অনেক দিন। কিন্তু ২০০১ সাল থেকে বিদ্যালয়টির পুরাতন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে থাকে। অনেক এর এর যুক্তি সঙ্গত কারণ বের করতে পারেনি। এলাকাবাসির ধারনা রাজনৈতিক কারনে বিদ্যালয়টি তার খেয় হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে ২০০৫ থেকে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো সহ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে থাকে। এর পর ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকে যার কারণে বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয়টি অযতেœ অবহেলায় থেকে স্থাপনার সিলিং থেকে চুন সুড়কি খোসে পড়তে থাকে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টয়লেটের সল্পতা তার উপর নোংরা পরিবেশ সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন নব্য যোগদান কৃত প্রধান শিক্ষক মুঃ আলম হুসাইন। তিনি কাজিপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদান করার পর পরই তিনি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দেন যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রাণ খুলে পাঠদান ও পাঠ গ্রহন করতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক মুঃ আলম হুসাইন বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানে যদি যথাযথ পরিবেশ না থাকে তাহলে সেখান থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না। তাই আমি স্থানীয়দের সহযোগিতায় ও বিদ্যালয়ের ফান্ড ও ব্যাক্তিগত ভাবে অর্থ সহযোগিতা নিয়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি। যাতে প্রতিষ্ঠানটি আগের যে কোন সময়ের চাইতে অনেক উন্নয়ন হয়। তিনি বলেন বর্তমানে শিক্ষার্থীদের তাদের সুন্দর ইউনিফর্ম পরে আসা বাধ্যতামুলোক করা হয়েছে যা আমি আসার আগে ছিলনা। বিদ্যালয়ে টয়লেটের সমস্যা ছিল সেগুলো দুর করা হয়েছে। আগে বিদ্যালয়টির কোন গেইট ছিলনা প্রধান শিক্ষক মুঃ আলম হুসাইন যোগদান করার পর সেটি করা হয়েছে কারন এর আগে গৃহপালিত পশু ও স্থানীয় বখাটে ছেলেদের আড্ডায় পরিণত হতো এখন আর সে সুযোগ নেই। এখন নিয়মিত ছাত্র সমাবেশ হয় এর আগে তা ছিলনা। প্রধান শিক্ষক বলেন এক কথায় আগের চিত্র আর এখন কার চিত্র অনেক ভিন্ন। তাছাড়া আগের সময় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের আলাদা কোন কক্ষ ছিলনা এখন সেটা করা হয়েছে এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ছিলো অনিরাপদ। প্রধান শিক্ষক মুঃ আলম হুসাইন যোগদান করার পর থেকে অন্যান্য বিষয়ে উন্নয়নের পাশা পাশি প্রশাসনিক ভবন গ্রিল দিয়ে ঘিরে তার নিরাপত্তা জোরদার করেছেন। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের কোন শ্যেনী কক্ষে ফ্যান ছিলনা প্রথান শিক্ষক শুরুতেই ৫টি শ্রেনী কক্ষে ফ্যান লাগিয়েছেন যাতে শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার বিরক্ত ছাড়াই লেখা পড়া করতে পারে। কারন এর আগে শ্রেনী কক্ষ থেকে শিক্ষক বের হয়ে আসলে শিক্ষার্থীরাও বের হয়ে আসত। এখন সেটা আর হয়না বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পড়ার উপর ব্যাপক মনযোগ দিয়েছে।এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সহ সার্বিক উন্নয়নে তারা এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মুঃ আলম হুসাইনের ভুয়সি প্রশংসা করেন। তারা বলেন এত অল্প সময়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশের উন্নতি হয়েছে যা দীর্ঘ সময়ে হয়নি স্থানীয়রা আশা করেন এখান থেকে আবারো আগের মতো ভাল ও মেধাবি শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে আসবে। প্রধান শিক্ষক মুঃ আলম হুসাইন জানান, শিক্ষার মান উন্নয়নে বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি বাইরের উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে পরামর্শ নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি কারন আমি চাই প্রতিষ্ঠানটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম থেকে দশের মধ্যে থাক এজন্য যা করার তাই করা হবে।