উল্লাপাড়ায় বাঁখুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্কুলে প্রবেশে বাধা শিক্ষক সংকটে ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা
সাহারুল হক সাচ্চু, উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি 4TV
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাঁখুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে গ্রামবাসীরা আজ বৃহস্পতিবার স্কুলে প্রবেশে বাধা দেয়। দীর্ঘদিন মেডিকেল ছুটি ভোগের পর প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা খাতুনের স্কুলে যোগদানের কথা ছিল। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ইউনুস আলী নেতৃত্বে গ্রামবাসী সকাল থেকে স্কুলের বাইরে অবস্থান নেয়। এতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে প্রধান শিক্ষক স্কুলে যোগদান করতে পারেননি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। তিনি গ্রামবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় লোকজন তাদের অবস্থান থেকে সরে যায়।
বাঁখুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনুস আলী বক্তব্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা খাতুন ০১/০১/২০১৭ সাল হইতে বেশির ভাগ সময়ই ছুৃটিতে ছিলেন। স্কুলের ছাত্র সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচশত অথচ শিক্ষক আছে মাত্র ৫ জন। তার উপর প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম ও অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। আর এতে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এই কারণে উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছেন অভিভাবকেরা।
তার আরো বক্তব্যে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বারবার জানালেও কোন কাজ হয়নি। তিনি স্কুলের চলমান সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম.জি মাহমুদ ইজদানীর বক্তব্যে তিনি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান সংকটের কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা খাতুনের প্রতিবন্ধি শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন। মানবিক কারনেই কর্তৃপক্ষ এই ছুটি মঞ্জুর করেন। তবে স্কুলের শিক্ষক সংকট সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আপাততঃ এই প্রধান শিক্ষকের ছুটি তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা খাতুনের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুজ্জামানের বক্তব্যে বাঁখুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে আপাততঃ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছেন। প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের বর্তমান সমস্যা সমাধানে তিনি সব ধরণের সহযোগিতা দেবেন।