গাংনীতে কিশোর কিশোরী উধাও নিয়ে নানা প্রশ্ন কৌশলে বাল্য বিয়ে নাকি প্রেমের টানে উধাও
বিশেষ প্রতিনিধি 4TV
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের মাঠ পাড়ার দু’ কিশোর কিশোরী বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের উধাও হওয়ার খবরে উভয় পরিবারের মাঝে বিচলিত হওয়ার চিহ্ন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তারা হলো ঐ গ্রামের একই পাড়ার গরুর ব্যাপারী ছিপরুদ্দিনের মেয়ে জোছনা খাতুন ও কৃষক আওলাদ হোসেন এর ছেলে মোঃ গালিব। মোঃ গালিব এবার এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে অন্যদিকে জোছনা খাতুন গাংনী মহিলা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী। কিশোর গালিবের চেয়ে জোছনা বয়সে বড় বলে জানান উভয়ের পরিবার। তবে তারা কোথায় আছে জানতে চাইলে উভয় পরিবার সাংবাদিকদের জানাবেনা বলে জানান। তারা আরো বলেন আপনারা সাংবাদিক আপনারা আপনাদের কাজ করেন আমরা আমাদের কাজ করেছি। তারা উধাও নাকি তাদের বাল্য বিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা ঠিক করব। সরজমিনে জোছনার পরিবারের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন গত বুধবার (০৪-০৭-২০১৮) দুপুরে পালসার মটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। জোছনার বড় বোন আরো জানান, তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এটা আমরা জানতাম কিন্তু তারা বর্তমানে এমনভাবে চলা ফেরা করত আমরা বুঝতে পারিনাই যে তারা এভাবে চলে যাবে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান দু’পরিবার একে অপরের আত্মীয় জোছনার বড় বোনের সাথে গালিবের এক ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। তারা তাদের সম্পর্কের বিষয়ে সবই জানে এবং তাদের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথাও হয়েছে কিন্তু বাল্য বিয়ের আওতায় পড়বে বলে তারা কৌশল করে তাদের বিয়ে দিয়েছে। এদিকে সাংবাদিকের উপস্থিতে গালিবের বড় ভাই রোকন বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে জানতে চান আপনাদের এসব খবর কে দিয়েছে আমাদের বলতে হবে বলে চাপ দেয়। পরে স্থানীয় মেম্বর মোঃ বশির আহম্মেদ বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন বলে সময় চান। নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করার পরও তিনি সাংবাদিকদের সাথে দেখা করেননি তবে মোবইলে তিনি সাংবাদিকদের ম্যনেজ করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। মেম্বরের তৎপরতা দেখে স্থানীয় অনেকে বলেন মেম্বর বশির বাল্য বিয়ের বিষয়ে এর আগেও কোন বাঁধা দেয়নি এখনও দেবেনা। স্থানীয়রা আরো জানান এর আগেও এভাবে কয়েকটি বিয়ে হয়েছে মেম্বর বশিরের কোন তৎপরতা বা উদ্যোগ দেখিনি। জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিষ্ণু পদ পাল বলেন, যদি পিতা মাতার অসম্মতিতে এ ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তাদের উচিত দ্রæত আইনে শৃংখলা বাহিনীকে জানানো আর যদি তাদের পরিবারের সম্মতিতে এ ঘটনা ঘটে তাহলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যাবস্থা করা হবে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার জন্য। গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।