মেহেরপুরে ৩ বছরের শিশু ধর্ষন
এম এ লিংকন,মেহেরপুর 4TV
মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের ৩ বছরের এক শিশুকে পাখির বাচ্চা দেবার নামে ডেকে নিয়ে শষ্যর জমিতে ধর্ষন করেছে। ধর্ষক সাঈদ পালতক আছে। সাইদ সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের এনারুলের ছেল। বুধবার বিকালের দিকে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জজ মোঃ শাহীন রেজার আদালতে ঐ শিশু ২২ ধারায় জবান বন্দী দেন। এর আগে আজ সকালে আদালতের নির্দেশে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ জেনারেল হাসপাতালে তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় ধর্ষিতা এই শিশু মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের প্রবাসীর (মিজানুর রহমানের) কন্যা। শিশুর মা (ফাছনিয়ারা খাতুনের) বাদি হয়ে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। দায়ের করা মামলার আরজিতে উল্লেখ্য করছেন। গত ১৯ জুন দুপুরের দিতে তার শিশু কন্যা সমবয়ীদের সাথে খেলা করার সময় সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের এনারুল এর ছেলে সাইদ (১৬) তাকে পাখির বাচ্চা দেওয়ার নাম করে চাঁদপুর গ্রামের মাঠে এমদাদুল হকের শষ্যার জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে মাঠে কাজ করা লোজকন এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মামলার বাদী জানান আসামী সাইদ চাঁদপুর গ্রামে তার নানী রওশনারা খাতুনের বাড়িতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য স্থানীয়রা চাপ প্রয়োগ করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত গত ১ জুলাই মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এসআই ইমরুল হুসাইন মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার দিয়ে শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করারন। গতকাল বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ১ম আদালতের বিচারক শাহীন রেজার কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এর ২২ ধারায় ঘটনায় জবানবন্দী দেয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক সাইদ আত্মগোপন করেছে। আজ বিকালে ঐ শিশু তার মা কোলে চড়ে আদালত থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। বাদী জানান ঘটনার পর থেকে গ্রামের প্রভাবশালী মহলের চাপে রয়েছি। অনেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এসআই ইমরুল হুসাইন জানান মামলার আসামী সাইদকে আটক করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। সে যেখানেই থাকুক না কেন তাকে আটক করা হবে।