মণিরামপুরে স্কুল ছাত্রীর অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় প্রেমিক আটক
সদরুল অাইন :
মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা : মণিরামপুরে স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় পুলিশ ইসরাফিল (১৮) নামের কথিত প্রেমিককে আটক করেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আইনুদ্দীন উপজেলার ছোট সালামাতপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন।
তবে পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, আটক যুবক ইসরাফিল তার প্রেমিকাকে ও প্রেমিকার গর্ভের সন্তানের পিতৃেত্বর পরিচয়কে অস্বীকার করছেন। গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ওই উপজেলার সালামতপুর গ্রামে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সন্ধ্যার মধ্যে একটা সিদ্ধান্তে আসার জন্য ইসরাফিলের পরিবারকে আল্টিমেটাম দেন।
নির্ধারিত সময়ে কোনো সিদ্ধান্তে না আসায় ইসরাফিলকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন। ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও স্যার ওদের সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন। স্যার চলে যাওয়ার পর বিকেল থেকে আমি ওই গ্রামে ছিলাম। আমি ইসরাফিলকে একা ডেকে নিয়ে আধা ঘণ্টা কথা বলেছি। সে ওই কিশোরীর গর্ভে থাকা সন্তান নিজের বলে স্বীকার করে না। তাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
এদিকে খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আইনুদ্দীন জানান, ইসরাফিলকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মণিরামপুরের ছোট সালামতপুর গ্রামের হায়দার আলী খাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলে ইসরাফিল তার চাচাতো বোন নবম শ্রেণির কিশোরী ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
গত দেড় বছর ধরে তাদের সম্পর্ক চলে আসছে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। বর্তমানে ওই কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে কিশোরী ও তার স্বজনদের দাবি। এ ঘটনায় বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন সরেজমিন খোঁজ নিয়ে হস্তক্ষেপ করার পর কথিত প্রেমিক এখন পুলিশের হাতে বন্দী।