মাঝারি আকারের বিমানের বাজার ধরতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিশ্বের শীর্ষ দুই বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
মাঝারি আকারের বিমানের বাজার ধরতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিশ্বের শীর্ষ দুই বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও এয়ারবাস। প্রতিযোগিতার নতুন উদ্যোগ হিসেবে লোকসানে থাকা ব্রাজিলের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমব্রায়েরের শেয়ার কিনে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং। অন্যদিকে, কানাডার বোম্বারডিয়ারের সি সিরিজের বিমানের শেয়ার কিনে নিচ্ছে ইউরোপের এয়ারবাস। চীন আর রাশিয়ায় তৈরি বিমানগুলো যেন ব্যবসার পথে প্রতিবন্ধকতা না হয়, সেজন্যই এতো সতর্কতা শীর্ষ এ দুই প্রতিষ্ঠানের।বিমান তৈরি থেকে শুরু করে সরবরাহ, চুক্তি থেকে শুরু করে শেয়ার কেনা। সব দিক দিয়ে সমান সমান এগিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং আর ইউরোপের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় এ দুই প্রতিষ্ঠানের বিমানই। বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার তাই ৪শ' ৭৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে ব্রাজিলের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমব্রায়েরের ৮০ শতাংশ শেয়ার কিনে নিচ্ছে বোয়িং। ঋণের বোঝা কমাতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে এমব্রায়ের কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না থেকে কিছু সময়ের ব্যবধানেই কানাডার বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোম্বারডিয়ারের সি সিরিজের বিমানের অর্ধেক শেয়ার কিনে নিচ্ছে এয়ারবাস। বোম্বারডিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরের অক্টোবরে ৫০ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার এয়ারবাসের কাছে বিক্রি করবে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধরতে সি সিরিজের বিমান তৈরির মোবাইল প্ল্যান্ট সম্প্রসারণের উদ্যোগও নিয়েছে এয়ারবাস। ২০১৮ সালে সি সিরিজের ৩৪ টি বিমান সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের। এরমধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পা রাখলো বোম্বারডিয়ার।
মূলত লোকসানের ভারেই নিজেদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করেছে বোম্বারডিয়ার ও এমব্রায়ের। এদিকে, মাঝারি ও ছোট আকারের বিমানের বাজার দখলের দিক দিয়ে রাশিয়া আর চীনকে টেক্কা দিতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে বোয়িং ও এয়ারবাস। কারণ নিজস্ব বিমান তৈরির দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চীন ও রাশিয়া। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৪শ' কোটি ডলার। অন্যদিকে, এয়ারবাসের বাজারমূল্য ১১ হাজার ১শ' কোটি ডলার।