জাপার প্রার্থী তালিকা নিয়ে তোলপাড় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ
সদরুল অাইন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনো চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করেনি জাতীয় পার্টি। অথচ জাপার আসন বন্টন নিয়ে সম্প্রতি দু-একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। একাধিকবার জামানত বাজেয়াপ্ত নেতার নাম রয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রার্থী বন্টন তালিকা নিয়ে জাপার শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলে চলছে তোলপাড়। আজ বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় জানান, কতিপয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। বিভ্রান্তকর খবর পরিবেশন করা হয়েছে। আসন বন্টন নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে তালিকা প্রনয়ন বা প্রকাশ করেনি। পার্টির মধ্যে বিভেদ তৈরি এবং দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে কল্পকাহিনী বানানো হয়েছে। এটা পত্রিকার প্রতিবেদকের নিজস্ব মতামত। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন থেকে হেবিওয়েট নেতারা জাতীয় পার্টিতে যোগদান করছে দেখে ঈশ্বান্বিত হয়ে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এসব করা হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচনী সিডিউলের পর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। তালিকা চুড়ান্ত করবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। যা এখনো খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। তৃণমূল থেকে আসা প্রার্থী তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর চুড়ান্ত হবে জাপার প্রার্থী তালিকা। এদিকে, জাপার প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত হবার পূর্বেই মিডিয়ায় আগাম প্রচারের জন্য দলের ভিতরে একটি গ্রুপ জোর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা ভুয়া এবং স্ট্যান্ডবাজী বলেও দাবি করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান জানান, তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন ও মতামতের ভিত্তিতেই ৩০০টি আসনে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করবেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী এবং গতিশীল করার লক্ষ্যে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার আগে জেলা পর্যায়ে সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিয়েছে জাপা। প্রত্যেক জেলায় মতবিনিময়ের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ উপস্থিতিতে মতামত নিয়ে যোগ্য প্রার্থীর মূল্যায়ন করা হবে। সেখান থেকেই চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আসবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলাগুলোতে সম্মেলন করার জন্য কড়া নির্দেশ নিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ। এমএ রাজ্জাক খান বলেন, দুটি পত্রিকায় জাপার প্রার্থী তালিকা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা মনগড়া এবং প্রতিবেদকের একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। এটার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে বেশ কয়েকটি জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছে। সেগুলো হলো – খুলনা জেলা/মহানগর ১৪ জুলাই, বাগেরহাট জেলা ১৫ জুলাই, যশোর জেলা ১৬ জুলাই, চুয়াডাঙ্গা জেলা ১৮ জুলাই, টাঙ্গাইল জেলা ২১ জুলাই, শেরপুর জেলা ২২ জুলাই, ঝিনাইদহ জেলা ২৬ জুলাই, মেহেরপুর জেলা ২৬ জুলাই, সাতক্ষীরা জেলা ২৮ জুলাই, মাগুরা জেলা ২৮ জুলাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৪ আগস্ট, হবিগঞ্জ জেলা ৪ আগস্ট, মৌলভীবাজার জেলা ৫ আগস্ট, পাবনা জেলা ৭ আগস্ট, নাটোর জেলা ৮ আগস্ট, পিরোজপুর জেলা ১০ আগস্ট, ঝালকাঠি জেলা ১১ আগস্ট, বরগুনা জেলা ১২ আগস্ট। জাপার যুগ্ম দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।