প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে অভিজ্ঞহীন শিক্ষক ছাড়াই চলছে একাডেমীর নামে কোর্সিং সেন্টার।
নিরেন দাস, (Channel4 TV)জয়পুরহাট,প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর প্বার্শে সান-সাইন ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড একাডেমীর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে কোন স্কুল কলেজের কর্মরত শিক্ষক ছাড়াই বহিরাগত বেকার তরুণ ১১ জন অভিজ্ঞহীন শিক্ষক ছাড়াই ১৮০ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এ ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড একাডেমীর নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে শিক্ষা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এই কোর্সিং সেন্টারটি। গতকাল সান-সাইন একাডেমীর পরিচালক, মোঃ তারাজুল ইসলামের অফিসকক্ষে পৌঁছে তার কাছে অভিজ্ঞ শিক্ষকগণদের বিষয়ে জানতে চাইলে। পরিচালক,তারাজুল ইসলাম সরাসরি প্রশ্নের জবাবটি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন। পরে তিনি শিকার করেন তার একাডেমীতে মোট ১১ জন বেকার তরুণ অভিজ্ঞহীন শিক্ষক দ্বারা সর্বোমেট ১৮০ জন ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান দিচ্ছেন। তার নিকট সেইসব শিক্ষকদের নাম জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে একাডেমী অধ্যক্ষ, মো আমজাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন, তখন অধ্যক্ষকে তার অফিস কক্ষে না পেয়ে অবশেষে অক্ষক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরিচালনাকের নিকট মোবাইল নম্বর চাইলে মোঃ তারাজুল ইসলাম অধ্যক্ষের মোবাইল নম্বর নেই বলে তিনি শিক্ষা অফিসে জরুরি কাজ আছে বলে তিনি আর কোন উত্তর না দিয়েই দ্রুত ভ্যান যোগে উধাও হন। তিনি চলে যাওয়ার পরে উক্ত স্কুল অ্যান্ড একাডেমীটির নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা নিচ্ছে উক্ত একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি পরিচালকের দেয়া তথ্য অনুসারে একাডেমীতে ১৮০ জন ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা নিচ্ছে কিন্তু ক্লাস রুমে প্রবেশ করে একটিও ছাত্রছাত্রীদের পাওয়া যায়নি। পরে একাডেমীর বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.টি.এম জিল্লুর রহমানের নিকট কথা বলতে গেলে তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকাই তার সঙ্গেও কথা বলতে না পেরে। আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালাহ্উদ্দিন আহমদের নিকট এই বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন,এইসব একাডেমী বা কোর্সিং সেন্টারগুলি সরকারের নির্দেশ অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন এইসব শিক্ষাদানের নামে বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তা আমার জানা রয়েছে কিন্তু এমন বানিজ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের সর্বোপরি অভিভাবকদের দোষারোপ করবো কেননা তারা সব কিছু যেনেও তারা কেন তাদের সন্তানদের এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠান বলে জানান তিনি। পরে তিনি আরও বলেন বিষয় আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।