গাংনীতে গৃহবধুকে পিটিয়ে ও সুপার গøু আঠা মুখে দিয়ে হত্যার চেষ্টা
এম এ লিংকন,মেহেরপুর 4TV
মেহেরপুরের গাংনীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার পর সুপার গøু আঠা মুখে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শাহানাজ। নির্যাতিত গৃহবধু শাহানাজ গাংনী পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বাশবাড়িয়ার উত্তরপাড়ার শাহাদতের মেয়ে। তিনি দু’ শিশু কন্যার জননী। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু জানান, গত রবিবার সন্ধ্যা রাতে খাবার খেতে দিয়ে রান্না ঘরে রান্নার কাজ করতে থাকি এমন সময় সে কোন কিছু না জানিয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে উপর্যপুরি পিটাতে থাকে। তিনি আরো জানান, তার লাঠির আঘাতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে প্রতিবেশিরা আমার স্বামীর হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে। গৃহবধুর স্বামী আঃ হাই ওরফে হন্তা বিষয়টি অস্বীকার করলেও প্রতিবেশিরা তার নির্যাতনের কথা সাংবাদিকদের জানান। প্রতিবেশিরা বলেন, কারণে অকারণে তাকে অমানুষিক নির্যতান করে। বাধাঁ দিতে গেলে প্রতিবেশিদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। যে কারণে অনেক সময় কেউ তাদের বাড়িতে যেতে চাইনা। আব্দুল হাই হন্তা ফেরি করে বিভিন্ন ধরণের মালামাল বিক্রয় করে থাকে। তবে সে একজন গাঁজা সেবি বলে এলাকার অনেকে জানান। প্রতিবেশিরা আরো জানান গত রবি বার তার স্ত্রীকে মারধর করে আহত করার পরের দিন সোমবার মধ্যো রাতে আবারো তাদের মেয়েদের চিৎকার শুনে তাদের বাড়িতে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হন্তার মেজ ভাই গোলামের বাড়িতে রাখা হয়। এদিকে নির্যাতিত গৃহবধু জানান, রবিবার মারধর করার পর পরেরদিন সোমবার গভীর রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আমার বুকের উপর বসে মুখে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে দেয় এবং মুখে সুপার গøু আঠা ঢুকিয়ে দেয় যাতে আমি চিৎকার করতে না পারি। আমার সাথে ধস্তাধস্তির শব্দে পাশে শুয়ে থাকা আমার দু মেয়ে চিৎকার করে বাইরে বেরিয়ে গেলে প্রতিবেশিরা আমাকে উদ্ধার করে মেজ ভাশুরের বাড়িতে রেখে আসে। কেন মারধর করে জানতে চাইলে গৃহবধু বলেন সে প্রায়ই মদ গাঁজা খেয়ে থাকে কোন কারণ ছাড়াই সে আমাকে মারধর করে থাকে। এদিকে গৃবধুর নির্যাতনের খবর পেয়ে গৃহবধুর মা আলিয়া খাতুন সেখানে গিয়ে তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে বলে গৃহবধুর পরিবার সুত্রে জানা যায়।