দীর্ঘদিন পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ায় এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষিত জাতির কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর হাতে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পাস করা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সরকার শিক্ষাখাতের উন্নয়নে সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ আমরা জানি দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত করতে হলে শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ থাকলেও এবার এ পরীক্ষা অভিযোগ ছাড়াই শেষ হয়। এ প্রসঙ্গটি টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়েই তার অপব্যবহার হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমাদের সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ায় এবার প্রশ্নফাঁস হয়নি।
এসময় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে, ২০১৮ সালের এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৬৬.৬২ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬২ জন। মোট পাস করেছেন ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন। ছাত্রদের পাসের হাস ৬৩.৮ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৬৯.৭২ শতাংশ।'