ঝিনাইদহে ডিসি অফিসের স্টাফ কর্তৃক মিথ্যা মাদক মামলার সহায়তা ও নানা প্রকার হয়রানী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহে ডিসি অফিসের কর্মরত এক স্টাফ কর্তৃক মিথ্যা মাদক মামলার সহায়তা ও নানা প্রকার হয়রানী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে অসহায় এক নারী।
২১ শে জুলাই শনিবার দুপুর ১২টার সময় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মুজিব চত্তরের মন্ডল মার্কেটের দোতলায় ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিট অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেছে অসহায় নারী চাঁদনী খাতুন।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা রিপোটার্স ইউনিটের সভাপতি এম এ সামাদ, সাধারন সম্পাদক জাহিদুর রহমান তারিক সহ বেশ কিছু সাংবাদিক। ঝিনাইদহ সদও উপজেলার পবহাটী গ্রামের আলামিনের স্ত্রী চাঁদনী খাতুন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আপনাদের ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টাস ইউনিটর কার্যালয়ে হাজির হইয়া আমার একই গ্রামের প্রতিবেশী আবু তালেব কর্তৃক মিথ্যা মাদক মামলায় সহায়তা ও নানা প্রকার হয়রানীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের অনুমতি প্রার্থনা করছি।
একই গ্রামের আমার খালু শশুর আবু তালেব, পিতা মৃত আহম্মদ আলী, সে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের পরিবারের সাথে বিভিন্ন প্রকারের হয়রানি, মানুষিক ও শারিরীখ নির্যাতন করেই যাচ্ছে।
কখনও পুলিশ কখনও ডিবিসহ বিভিন্ন প্রকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমার বাসায় পাঠিয়ে আমাদের পরিবারের প্রতি হুমকি প্রদর্শন করছে। আমরা বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নিকটে যথাযথ দতন্তের দাবী জানাচ্ছি। আবু তালেব আমার শ্বশুরের জমি কৌশলে নিজের নামে লিখে নেবার জন্যই এই ধরণের কু-পরিকল্পনা করে আমার স্বামী ও শশুরকে দিনের পর দিন হয়রানি ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছে।
কোন প্রকার মামলা বা অভিযোগ না থাকার পরও আতাত করে কখনও পুলিশ কখনও ডিবিসহ বিভিন্ন প্রকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে গত ২৮ জুন ২০১৮ ইং তারিখে সাড়ে পাঁচটার সময় পুলিশের মাধ্যমে জোর করে আমাদের বাসায় দরজা ভেঙ্গে আমার স্বামীকে টেনে হেচড়ে থানায় নিয়ে মারধর করে।
আমি আমার স্বামীকে কি কারণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে আবগারী পুলিশ আমার গালে সজোরে চড় মেরে বলে “তোর বিরুদ্ধেও এমন মামলা দেওয়া হবে যেন ১৪ বছরেও আলো বাতাসের মুখ দেখতে পাবি না”।
এই আবু তালেব তার কুমতলব ও জমি-জাতি হাছিল করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়। আমার স্বামী এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে আবু তালেব পুলিশের সাতে আতাত করে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ২টি মিথ্যা মামলা দেয়, যার মামলা নং-৪৪২ ও ৪৪৩।
খোঁজ নিয়ে যানা যাবে পবহাটি গ্রামে আবু তালেবের অত্যাচারে আমি আমার পরিবারসহ পাড়াপ্রতিবেশীরাসহ সবাই অতিষ্ঠ। আবু তালেব ঝিনাইদহ ডিসি অফিসে চাকুরী করার সুবাদে নিজ ক্ষমতা ও প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বারবার আমার স্বামী ও শশুরকে হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলার পর মামলা দিয়ে আমাদের পরিবারকে ধ্বংসের দুয়ারে নিয়ে এসেছে।
আমার শ্বাশুড়ী জিবিকার টানে বিদেশে অবস্থান করছে, আমার শশুর অসুস্থ ও অসহায় অবস্থায় দীর্ঘদিন বিছানাগত আছে।
আমার স্বামী ঝিনাইদহ কলার হাটে দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। উল্লেখ্য, ডিসি অফিসে কর্মরত ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কুচক্রান্তকারী আবু তালেব তার দুই জামায়কে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে পুলিশের চাকুরী দিয়েছিল, বর্তমানে তদন্তের পর দুইজন চাকুরীচ্যূত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানাযাবে তালেব আমাদের গ্রামের অনেক মানুষকে প্রতারণা করে ঠকিয়েছে। কেউই তার হাত থেকে রেহাই পায়নি এমনকি আমার পরিবারও না।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কর্তৃপক্ষের নিকট আমার প্রশ্ন আমার দিন মজুর স্বামীকে কেন মিথ্যা মামলায় ফাসানো হলো? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবু তালেবের মত একজন মিথ্যাবাদীর কথা শুনে কেন আমাদের পরিবারের প্রতি বারবার এই জুলুম করছে? আমরা কি ন্যায় বিচার পাব না? তাই আমি আজ সকল সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে মানুষিক ও শারিরীখ নির্যাতনকারী ব্যাক্তি আবু তালেব ও দায়ী মহলকে দ্রুত চিহ্নিত করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
সেই সাথে আমার পরিবারকে হেফাযত রাখতে আইনী সহায়তা ভিক্ষা প্রার্থনা করছি।