কয়লার অভাবে বন্ধ হলো বড়পুকুরিয়ায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
কয়লা সংকটে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবকটি ইউনিটের উৎপাদন।
উত্তরাঞ্চলের আট জেলার বিদ্যুৎ চাহিদার সিংহভাগ এই কেন্দ্র থেকে সরবরাহ হওয়ায় এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে নতুন করে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে আগামী মাসে।
জ্বালানি সংকটে শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে হলো দেশের একমাত্র কয়লাভাত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র-দিনাজপুরের বড়দপুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র।
রোববার রাত ১০টায় ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্শ্ববর্তী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
বিকল্প ব্যবস্থা না হলে দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের আট জেলায় বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই জেলাগুলোতে প্রতিদিন ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। যার ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎই সরবরাহ করা হতো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি জানিয়েছে, পুরনো ফেজের কয়লা মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। আগস্ট মাসের শেষ দিকে নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।
এদিকে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত প্রায় দেড় লাখ টন কয়লার হিসাবে গরমিল হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কয়লা কেলেংকারির ঘটনায় অপসারণ করা হয়েছে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। এছাড়া, বদলি ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে চার কর্মকর্তাকে।
বিদ্যুৎকেন্দের ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ১ নম্বর ইউনিটটি বড় ধরনের মেরামতের জন্য কয়েকমাসের জন্য বন্ধ রয়েছে। ২ নম্বর ইউনিটটি কয়লা সংকটের কারণে গত ২৯ জুন বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই কারণে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নম্বর ইউনিটটি কয়েকদিন ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে অবশেষে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।