ছোট বড় বাধা জয় করে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন নবীন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
ছোট বড় বাধা জয় করে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন নবীন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। অপার সম্ভাবনা থাকায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই রপ্তানি খাতে বিনিয়োগ করছে কিছু বড় শিল্প গ্রুপও। তবে সাভারে ট্যানারিগুলো পুরোদমে উৎপাদন শুরু না করায় চামড়া ও মানসম্মত এক্সেসরিজের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য উৎপাদন। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগ। অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্ক ও মূলধন সংকটেও পিছিয়ে পড়ছেন নবীন উদ্যোক্তারা।
হাজারীবাগের স্থানান্তরিত ট্যানারি পল্লীর অব্যবহৃত জায়গায় গড়ে উঠেছে ছোট -বড় চামড়া পণ্যের কারখানা। ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদা পূরণে এসব কারখানায় তৈরি ওয়ালেট, স্যান্ডেলসহ রকমারি চামড়াজাত পণ্য কিনছে দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড। সীমিত পরিসরে অনেকে রপ্তানিও করছেন। তবে অনেক ব্র্যান্ড এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে পণ্য কিনলেও পাওনা আটকে রাখায় পুঁজি সংকটে হিমশিম খাচ্ছে তারা। প্রক্রিয়াগত জটিলতায় মিলছেনা ব্যাংক ঋণও।
উদ্যোক্তারা বলেন, 'যেভাবে পেমেন্ট করা হ্য় তাতে দেখা গেছে একটা সময় ঘুরাতে ঘুরাতে তারা ঠিকমত দেয়া না। তাতে আমাদের জন্যে অনেক সমস্যা হয়। আমরা ঠিকমত টাকা না পেলে সব কিছু আটকে যায়।'
এদিকে কাগজ কলমে হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্প নগরী স্থানান্তরিত হলেও এখনো অধিকাংশ কারখানা উৎপাদনে যেতে পারেনি। সেই সঙ্গে রয়েছে মানসম্মত সহায়ক কাঁচামালের অভাব। ফলে হাতছাড়া হচ্ছে অনেক বিদেশী অর্ডার।
উদ্যোক্তারা বলেন, 'শীপমেন্ট ডেট থাকে। তখন চামড়া যদি আমরা দেরি করে পায় তাহলে কিভাবে সম্ভব। তাতে আমরা কাস্টোমার হারাই। এর ফলে কি হচ্ছে মার্কেটটা ভিয়েতনাম ধরে ফেলছে।'
এরপরেও চামড়াজাত পণ্যের বিশাল বাজার থাকায় কিছু শিল্প গ্রুপ সাহস করে এ খাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। তবে রপ্তানির বিশাল বাজার ধরতে পৃথক এক্সেসরিজ জোন গড়ে তোলার আহবান সংশ্লিষ্টদের।
উদ্যোক্তারা বলছেন, চীনা পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় এইচএনএমসহ খ্যাতনামা অনেক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে আগ্রহী। এজন্য বিদেশী ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক চামড়া কারখানাগুলোর পরিবেশবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরী।