আনন্দের ঈদযাত্রা শেষদিনে এসে যেন চরম দুর্ভোগের নাম যানজট,
বাস সংকট আর ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে নাকাল ঘরমুখী মানুষ। ঈদের স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস দিয়েও সামাল দেয়া যাচ্ছে না যাত্রীচাপ। প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর পৌঁছাচ্ছে প্লাটফর্মে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে প্রায় প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত ট্রেন পেয়ে ঘরমুখো মানুষের আসন পাওয়া যেন একযুদ্ধেরই নাম। একই অবস্থা কমলাপুর রেলস্টেশনে আসা প্রতিটি ট্রেনেরই। দড়ি বেয়ে ছাদে উঠা এমনকি জানালা দিয়ে, যে যেভাবে পেরেছেন ঠাঁই করে নিচ্ছেন গন্তব্য যানে।
বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা দেরিতেও ভিড়ছে না প্লাটফর্মে। অপেক্ষার এই মাত্রা যেন অন্য দিনগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা। অভিযোগ ছিল টিকেট কাটলেও কেউ কেউ পাচ্ছেন না নির্ধারিত আসনটি।
এদিকে, অতিরিক্ত যাত্রী চাপে লালমনি এক্সপ্রেসের একটি বগির স্প্রিং বসে যাওয়ায় কিছুদূর যাওয়ার পর আবার ফিরিয়ে আনা হয় ট্রেনটি।
স্বস্তি ছিল না সড়ক পথেও। গাবতলীসহ রাজধানীর বাস টার্মিনালে সময় মতো আসছে না কোনো বাসই। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
অন্যদিকে, সকাল থেকে ঘরমুখী মানুষের ভিড় ছিল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও। প্রায় প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলে। তবে, সবারই চোখে মুখেই ছিল বাড়ি ফেরার আনন্দের ছাপ।
ঈদ যাত্রার শেষ দিনে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে সব রকম দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই বিভিন্ন গন্তব্যে নগর ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ।