সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে মাওয়া-পাটুরিয়াসহ দেশের সকল ফেরিঘাটে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে মাওয়া-পাটুরিয়াসহ দেশের সকল ফেরিঘাটে। মাস্টাররা বলছেন, নদীতে পানি ও স্রোত কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। নদী পার হতেও সময় লাগছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। বন্যার পানি নামা অব্যাহত থাকলে ঈদে ফেরি পারাপারে চরম সংকট তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা বিআইডব্লিউটিসি'র। তবে নাব্যতা ধরে রাখতে ড্রেজিং শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
উত্তাল পদ্মা। দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নেমে আসায় তা যেন আরো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। হয়ে পড়েছে কুলকিনারাহীন।
স্রোতের বিপরীতে অসহায় হয়ে পড়া লঞ্চ কিংবা ফেরি দেখলে কিছুটা ধারণা করা যায় পদ্মা কতোটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। মাস্টাররা বলছেন, প্রবল বেগে বন্যার পানি নেমে আসায় পদ্মায় পানি ও স্রোত অনেক বেড়ে মাওয়া ও পাটুরিয়ায় অনেকটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পানির সঙ্গে প্রচুর পলি আসায় নদীতে নাব্য সংকটের পাশাপাশি ডুবোচর সৃষ্টি হয়ে ঈদের আগেই মূল চ্যানেলগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
নাব্যতা ঠিক রাখতে ও ডুবোচর যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য মাওয়াতে ৪টি ও পাটুরিয়াতে ১টি ড্রেজার ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। আর বিআইডব্লিউটিসি বলছে, বন্যার কারণে ঈদে সংকটের কথা মাথায় রেখে শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ মাওয়াতে ১৮টি ও পাটুরিয়ায় ২০টি ফেরি প্রস্তুত থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস বলেন, স্রোতের ধাক্কায় পাড় ভেঙে যায়, ভেঙে গেলে আমাদের পল্টুন তখন সরে যায়। অধিক স্রোতের কারণে ফেরিগুলো আগাতে পারে না। যার ফলে এখানে ট্রিপ সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তখন গাড়ি জমে যাচ্ছে।