রোহিঙ্গ সমস্যা সু চিকে স্মরণ করিয়ে দিলেন শিনজো আবে
রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি উত্থাপন করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা আং সান সু চিকে স্মরণ করিয়ে দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি বলেন, যে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের পেশ করা সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে মিয়ানমারের সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য আবশ্যক।
সোমবার সকালে (২১ অক্টোবর) টোকিওতে আং সান সু চি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে। দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত ১৫ মিনিট স্থায়ী ওই বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সম্রাটের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য মিয়ানমারের নেত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া লোকজনের প্রত্যাবাসনে সহায়ক একটি পরিবেশ তৈরি করা মিয়ানমারের জন্য জরুরি। এ কথার জবাবে মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, সমস্যা সঠিকভাবে সামাল দেয়ার ইচ্ছা তার আছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দ্বিধা করবেন না তিনি।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাম উচ্চারণ না করলেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ছিল বিষয়টি নিয়ে এর আগে রাখা তার বক্তব্যের চেয়ে অনেক বেশি জোরালো।
জাপানের সম্রাট আকিহিতোর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের ১৯৪টি দেশের প্রতিনিধিরা এখন টোকিও সমবেত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা দেড়টায় সম্রাটের প্রাসাদে নির্ধারিত ৩০ মিনিটের মূল অনুষ্ঠানে জাপানের নতুন সম্রাট নারুহিতো এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার ঘোষণা দেবেন এবং একই অনুষ্ঠানে সম্রাটকে অভিনন্দন জানিয়ে ভাষণ দেবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বিদেশি অতিথিরা এরপর তাদের সম্মানে সন্ধ্যায় সম্রাটের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেখানে উপস্থিত আছেন। সমবেত অতিথিদের দলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা আং সান সু চি অন্তর্ভুক্ত আছেন।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়।