গাজীপুর রাজাবাজার এলাকায় সরকারি ত্রাণ (ভিজিএফ এর চাউল) বিক্রয়ের অনিয়মের দায়ে ০১ জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা।
র্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ অভিযানে গাজীপুর রাজাবাজার এলাকায় সরকারি ত্রাণ (ভিজিএফ এর চাউল) বিক্রয়ের অনিয়মের দায়ে ০১ জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তেরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করছে যা, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
এসকল প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব একটি বিশেষ দল গঠন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে র্যাব নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ২। এরই ধারাবাহিকতায়ঃ অদ্য ১৩ এপ্রিল-২০২০ ইং তারিখ আনুমানিক ১১০০ ঘটিকা হতে ১৪০০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প,
গাজীপুর এর একটি আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন রাজাবাজার এলাকার করোনা ভাইরাস উপলক্ষ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশের হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় ১০(দশ) টাকা কেজি দরে ৩০(ত্রিশ) কেজি করে কার্ডধারী ক্রেতাদের নিকট ভিজিএফ এর চাউল বিক্রয়ের কথা থাকলেও অনেক ক্রেতাদের কাছে ৩০ কেজি থেকে কম চাউল বিক্রি করে ৩০ কেজি চাউলের সমপরিমাণ অর্থ আদায়ের সংবাদ পেয়ে র্যাবের আভিযানিক দল গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন রাজাবাজার এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নিমিত্তে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় র্যাব-১, গাজীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসকের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক মেসার্স আবিদ এন্টারপ্রাইজ এর প্রোপাইটর মোঃ মোরশেদ আলম(৩৯), পিতা-মোহাম্মদ আলী, সাং-রাজাবাড়ী, থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর‘কে সরকারি ভিজিএফ এর চাউল বিক্রয়ে অনিয়ম করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৬ ধারা মোতাবেক মোবাইল কোর্ট মামলা নং-৫২/২০২০ মূলে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা পূর্বক আদায় করা হয়। ৩। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, উক্ত সরকারি ভিজিএফ এর চাউল বিক্রয়ের ডিলার মোঃ মোরশেদ আলম(৩৯) দীর্ঘদিন যাবত উক্ত এলাকায় সরকারি ভিজিএফ এর চাউল বিক্রির ক্ষেত্রে অধিক মুনাফার আশায় জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
সে আরোও জানায় করোনা ভাইরাস উপলক্ষ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশের হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় ১০(দশ) টাকা কেজি দরে ৩০(ত্রিশ) কেজি করে কার্ডধারী ক্রেতাদের নিকট ভিজিএফ এর চাউল বিক্রয়ের কথা থাকলেও তিনি ওজনে কম দিয়ে অর্থাৎ ২০-২৫ কেজি চাউল বিক্রি করে ৩০ কেজি চাউলের সমপরিমাণ অর্থ আদায় করে আসিতেছে বলিয়া র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
৪। জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। ৫। বিষয়টি আপনাদের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রেরণ করা হলো।