গাংনীতে ধান কাঁটা মাড়ায়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা
এম এ লিংকন মেহেরপুর প্রতিনিধি Channel 4TV : মেহেরপুরে গাংনী উপজেলায় ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বোরো ধান কাঁটা মাড়ায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অবহমান কাল হতে কৃষক, কৃষাণিরা যেমন মাঠের কাজ নিয়ে ব্যস্ত তেমনি ভাবে বাড়ীতে গৃহিণীপনা সহ গৃহস্থালি সকল কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা । বর্তমানে কৃষি সমৃদ্ধ সম্পন্ন এলাকা মেহেরপুর জেলা, যেখানে ধান সহ বিভিন্ন রকমের সবজী উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে সবজী উৎপাদনশীল হিসাবে এ জেলা শীর্ষতম অবস্থানে রয়েছে। এলাকা জুড়ে এখন চলছে ধান কাঁটার মৌসুম। মহাসমারোহে চলছে ধান কাঁটামাড়ায়ের কাজ এ কাজে এলাকার শ্রমিকসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও শ্রমিক আসা শুরু করেছে। এ কারণে এলাকার সবজী চাষিরা দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও সবজী কাজে শ্রমিকের ব্যবস্থা করতে পারছে না। কারণ হিসাবে দফায় দফায় বৃষ্টিতে পাঁকা ধানের নতুন করে ধানের চারা গজানো শুরু করছে।তাই চাষিরা তড়িঘড়ি করে পাল্লা দিয়ে বেশী পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কাঁটা মাড়ায়ের কাজ শেষ পুর্বক বাড়িতে আনার চেষ্টা করছে। ধান বাড়ীতে আসার সাথে সাথে গৃহিণীরা ধান সেদ্ধ শুকনা সহ অন্যান্য গৃহস্থালী কাজ নিয়ে চরম ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছে যা অবহমান কাল হতে চলে আসছে। নতুন ধান পেয়ে অতি পরিশ্রমের মাঝেও যেমন কৃষক, কৃষাণী ও গৃহিণীরা খুশি তেমনি ভাবে শ্রমিকরাও বেশী দামে ধান কাঁটতে পেরে তারাও খুব মহাখুশী। গত বছর বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো ধানের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই সাথে বাজারে ধানের ভাল দাম না পাওয়ায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। তাদের সকল হতাশাকে দুরে ঠেলে দিয়ে আবারও এক বুক আশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। তাদের আশা পুর্বের সকল লোকসানকে পুষিয়ে দিয়েছে এবারের বোরো ধান বাম্পার ফলন হয়েছে লাভের মুখ দেখছেন তারা। সেই আশাতেই পুরোদমে বোরো ধান কাঁটা মাড়ায়ে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় গাংনী উপজেলার চিতলা পাট বীজ খামারে এবার ১৫০ একর জমিতে বোরো ধান কাঁটামাড়ায় চলছে ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষের দাবি গত বছর লোকসানকে পুষিয়ে দিয়েছে একরে ১০০মন করে ধানের ফলন দেখা দিয়েছে । এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানে বাম্পার ফলনের আশা কৃষক সহ খামার কর্তৃপক্ষে। নিত্যানন্দপুর গ্রামের কৃষক মিটু সরকার জানান এবার ৩ একর জমিতে বোরো ধান রোপন করেছিলাম আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে । তিনি আর ও জানান ,৩একর জমিতে ২৮০মন ধান হয়েছে গত বছরের তুলোনায় অনেক বেশী । এবার মেহেরপুর জেলায় প্রায় ২০ হাজার হেষ্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষমাত্র নিধারণ করা হয়। জেলা কুষি অফিসার এস এম মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বোরো ধানের চারা রোপনে সঠিক পদ্ধতি ও সরকার অনুমোদিত জাতের বীজের বোরো ধানের চারা রোপনের কারণে এবার ধানের ফলন ভাল হয়েছে । কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমার মনে হয় । গড়ে একর প্রতি ১০০ মন করে ধান উৎপাদন হচ্ছে । গাংনী উপজেলা চিতলা পাট বীজ খামারের ডিএ ডি বাতেন জানান, বিদ্যুৎত ব্যবস্থা ভাল ছিল সঠিক সময়ে বোরো ধানে স্পে দেওয়ার কারনে ধানচাষের ফলন ভাল হচ্ছে ।