শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজীর অভিযোগ!
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে মুখ খুলছেনা দলিল লেখকেরা। শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও ষ্ট্যাম্প ভেন্ডার সমিতির দলিল লেখক ও প্রভাবশালি সিন্ডিগেট সঙ্গবদ্ধ চক্র দলিল লেখকদের কাছ থেকে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিসের বাহিরে সমিতির কার্য্যালয়ে এ টাকা আদায়করা হচ্ছে বলে জানা গেছে,যাহা সম্পূর্ণ বে-আইনী।
দলিল লেখকগন সরকারী ষ্ট্যাম্প পে-অর্ডার সোনালী ব্যাংকের সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে আসলেও সমিতি কার্য্যালয়ে নামদারী দলিল লেখক যার নাকি বৎসরে ৫/৭টি দলিল রেজিষ্ট্রি করিতে পারেনা স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে সাহাদাৎ হোসেন ওরফে ভান্ডারী নামে পরিচিত,তিনি প্রতিদিন সকাল ১০টায় সমিতির কার্য্যালয়ে একটি খাতা নিয়ে বসে থাকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ,দলিল লেখকগনদেরকে জুলুম অত্যাচার করে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক বলেন ইতি পূর্বে সমিতির টাকা না দিলে নামদারী দলিল লেখক সাহাদাৎ হোসেন ওরফে ভান্ডারী একজন দলিল লেখক কে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে এনে চর থাপ্পর মারে বলে জানান। সমিতির কার্যালয়ের নামদারী দলিল লেখক এর সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে দলিল ছেড়ে দেন তাহা না হলে সাব রেজিষ্ট্রার দলিল গ্রহন করেন না সাথে সাথে বলে দলিল সমিতির কার্যালয় থেকে এন্টি করে নিয়ে আসেন।
একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে ৭/৮জন অবৈধ সমিতির ক্ষমতার সমন্বয়ে সাধারণ দলিল লেখকদের জিম্মি করে চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে। সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও সাব রেজিষ্ট্রার দলিল করছেনা সমিতির একটি তালিকা করে দিয়েছে যে হারে ঘুষ নিতে হবে তা হলো সাফ কবলা দলিল প্রতি ১ লাক্ষে ৩০০টাকা, হেবা প্রতি ০১শতাংশ ৩০টাকা হারে, বন্টন নামা ও ঘোষনা পত্র এবং মর্গেজ দলিল আলোচনা সাপেক্ষে নিতে। এই ভাবে চলছে শ্রীপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস তারও মাঝে আবার সমিতির কাছে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা করে দিতে হয়।
এ ব্যাপারে সাব রেজিষ্ট্রার অফিসার আবু তালেব বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অবিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা। যে টাকা নেয়া হয় তা সমিতির মাধ্যমে মসজিদ মাদরাসা ও সমিতির কাজের উন্নয়নের জন্য।