বহাল তবিয়তে দাপটের সাথে চট্টগ্রামের নিউমুরিং অবৈধ বিদ্যুৎ চুরির মূল হোতা জসিম হাওলাদার।
বহাল তবিয়তে দাপটের সাথে চট্টগ্রামের অবৈধ বিদ্যুৎ চুরির মূল হোতা জসিম হাওলাদার। এখনও দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্চে নিউমুরিং বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতি। উচ্চ মহলের কিছু কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করে বদলী না হওয়ার জন্য খরচ করলেন ৩০ লক্ষ টাকা। এ দিকে পিডিবির হয়রানীর মুখে চট্টগ্রাম বন্দর দক্ষিণ হালি শহর বাসি। প্রতি মাসের বাড়তি ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ট গ্রাহকরা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণ হালিশহর নিউমুরিং শাখার বিরুদ্ধে অবৈধ মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ এর ভুতুরে বিলের অভিযোগ অহরহ ঘটছে। এসব এলাকার গ্রাহকরা প্রতি মাসে গুনছেন দ্বিগুণ বিল। অত্র এলাকার বিদ্যুৎ ভোগান্তি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। গ্রাহক অভিযোগ কে তুয়াক্কা না করে প্রতি মাসে কোন না কোন গ্রাহক কে গুনতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। টাকা পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন্য করন সহ মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা যার মুল হোতা জসিম হাওলাদার। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে জি ই সি মোড়ে করেছেন ফ্লাট বাড়ি,কলসি দীঘি পাড়ে বরিশাল কলোনি নামে গড়েছেন বিশাল ভাড়া বাড়ি পতেঙ্গা প্লাস্টিক ফ্যাক্টরীর পাশ্বে এবং পতেঙ্গা জেলেপাড়ায় রয়েছে কোটি টাকার জায়গা । নামে বেনামে করেছেন বিভিন্ন্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। কোটি কোটি টাকার বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এই জসিম হাওলাদার। গ্রাহকের মিটারে বর্তমান রিডিং ৩৮০৭ থাকলেও তা বৃদ্ধি করে হয়ে যায় ৫১৫০ রিডিং । এ ব্যাপারে মিটার রিডার জসিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে নিউমুরিং শাখায় অতিরিক্ত রিডিং দিয়ে হয়রানির প্রসঙ্গে অভিযোগ রয়েছে শত শত।বিদ্যুৎ বিলে চরমভাবে গরমিল ও অবৈধ মিটার স্থাপন করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই জসিম হাওলাদার ও তার সিন্ডিকেটরা। ডিজিটাল মিটার খুলে ডিসপ্লে চেন্স করে নতুন ডিজিটাল মিটারের ডিসপ্লে লাগান এই জসিম হাওলাদার। যার মিটার নাম্বার ৩২৭৪৪৫। মিটার রিডিং ঘুরানো, ডিজিটাল মিটার বাড়তি বিল আসলে জমা ইউনিট ফেলে দিয়ে নতুন মিটার লাগিয়েছেন তিনি। মিটার নাম্বার নিল লিখে বিল করে যাতে সহজেই কারচুপি করতে পারে।সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে বিদ্যুৎ চুরির মামলা করেন যার মামলা নং ৫২১/১৭। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জসিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ ১৮ হাজার ২৩ টাকা জরিমানা করেন জেল হাজতে প্রেরন করে। জরিমানার প্রথম কিস্তি ২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৬ টার সময় অফিস এসে হজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে। যা সম্পুন্য অবৈধ এবং অপরাধ যোগ্য । হাজিরা দেওয়ার পর সহকারী প্রকৌশলী তাকে স্বাক্ষর বিসয়ে জিঙ্গাসা করলে তিনি উল্টা তাকে হুমকি দিয়ে বদলি করে দেবেন বলে হুমকি দেয়।তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কেউ সাহস করে না। গত ২৯ সে আগষ্ট চট্টগ্রাম এর এবং জাতিয় কয়েকটি পত্তিকায় খবর ছাপা হলেও তার বিরুদ্ধে এখও পর্যন্ত কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি। তার অপকর্মের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে গেলে তাকে নানা হুমকিতে পড়তে হয় যে কারনে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়। অত্র এলাকার গ্রাহক রা তার দুর্নিতি বন্ধ করে এবং তার অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে দুদকে তার অবৈধ সম্পদের তদন্তের দাবি যানান।তার বিরুদ্ধে বদতি করে যথাযত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান