গাংনীতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ যুদ্ধ পরবর্তি সময় খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় এদেশের মানুষ খাদ্যের অভাবে অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করার পর বাংলার মানুষের শান্তির জন্য সব সময় কাজ করে গেছেন। কিন্তু যখনই বাংলাদেশের উন্নয়ন শুরু হবে ঠিক সে সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকরা হত্যা করেছে। তার পর থেকে আমাদের দেশ আর উন্নয়নের দিকে এগুতে পারিনি। সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের রবি/ ২০১৭-১৮ মৌসুমে ভুট্টা, সরিষা, বিটি বেগুন ও খরিপ-১/২০১৭-১৮ মৌসুমে গ্রষ্মকালীন মুগ ও তিল ফসল উৎপাদনে কৃষি প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন এ কথা বলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আরিফ-উজ-জামান এর সভাপতিত্বে এম পি মকবুল হোসেন আরো বলেন,জাতির জনক এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বর্তমানে আমাদের দেশ আগের চাইতে অনেক উন্নত। এখন আমাদের দেশকে কেউ আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলতে পারেনা। আমাদের দেশ এখন উন্নত বিশ্বে একটি রোল মডেল। জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ কৃষকদের বিনা মুল্যে সার বীজ দিচ্ছেন এটা এক সময় আমাদের দেশের কৃষকরা কল্পনাও করতে পারতোনা কারণ আমি নিজেও একজন চাষীর ছেলে আমিও হাল চাষ করেছি তাই আমি জানি এটা একটি কৃষকের কতটা উপকার হয়। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জানেন কৃষকরা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি। তিনি আরো বলেন, আজ দেশের উন্নয়ন দেখে একটি গোষ্ঠির সহ্য হচ্ছেনা। তারা সব সময় আমাদের দেশ কে পিছিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় নানান ষড়যন্ত্র করতে ব্যাস্ত। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে যত দিন বাংলাদেশ থাকবে কোন ষড়যন্ত্রয় এ দেশকে পিছিয়ে নিতে পারবেনা। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ উজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিৎ ছিলেন, গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার মনিরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ,উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামলা পলাশ, ফুলকুড়ির অধ্যক্ষ্য সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ, ইয়াছিন রেজা, এমপি’র একান্ত সহকারি জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু সহ এ উপজেলার সকল কৃষক ও কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারি গণ উপস্থিৎ ছিলেন। পরে উপজেলার সকল ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে ১শ’ কেজি করে ভুট্টা, ১শ’৫ কেজি করে সরিষা, মুগ ২৫ কেজি ও বিটি বেগুনের বীজ বিতরন করা হয়।