কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটি পরিনত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে
প্রতিনিয়ত সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও সংস্কার হচ্ছে না কুমিল্লা -সিলেট মহাসড়কের ময়নামতি থেকে বিবাড়িয়া বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দকে ভরা মরনফাদের এই রাস্তাটি ।
বর্ষা কাল শুরু হতেই কুমিল্লা -সিলেট মহাসড়কের কুটি চৌমুহনী হতে জাফরগঞ্জ এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৪২ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই খান খন্দক । তবে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী হতে জাফরগঞ্জ এলাকার প্রায় ১৪ কিলোমিটার অবস্থা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ন । কংশনগর থেকে ময়নামতি বাজার ও ফরিজপুর পর্যন্ত একই দশা। শুধু দেবিদ্বার অংশে গত ৩ মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক যানবাহন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং নিহত সহ আজীবন পঙ্গুত্ব হয়েছে অনেকে । তবে বেশির ভাগ সময় মহাসড়কের দেবিদ্বার এলাকায় বেশি ঘটছে দুর্ঘটনা । রাস্তাটি পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় , বি-পাড়া উপজেলার মাধবপুর এলাকা ,দেবিদ্বার উপজেলার সংচাইল ,বড়শালঘর ,সিএন্ডবি,মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ ,দেবিদ্বারের সাইলচর ,চাপানগর,দেবিদ্বার সদর ,বানিয়াপাড়া ,বারেরা ,ভিড়াল্লা, কংশনগর, রামপুর, ময়নামতি ফরিজপুর সহ অনেক অংশে খানাখন্দকে সৃষ্টি হয়েছে মৃতূ ফাঁদ ।
স্থানীয়রা ও ভূক্তভোগী যাত্রী ও যানবাহন মালিক চালকরা সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার বললেও কোন কাজ হচ্ছেনা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাঝে মধ্যে সড়কের মাঝের গর্তগুলো সংস্কার করা হলেও সামান্য বৃষ্টির পানিতে সেগুলো আরো বড় হয়ে ওঠে। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ছোট-বড় অনেক যানবাহন উল্টে কিংবা খাদে পড়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।
অথচ এই মহাসড়ক সিলেট ,বি-বাড়ীয়া ,চট্রগ্রাম ,কুমিল্লা সহ দেশের প্রায় ১৫ টি জেলার শত শত যানবাহন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে।পরিবহন শ্রমিকরা জানান , রাস্তার বেহাল দশার কারণে সড়কে প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ঘটনা। এতে অনেক আহত-নিহতের ঘটনা ঘটছে। বিকল হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। বেকার হচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা । দ্রুত এই রাসÍাটির সংস্কারের দাবী জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা ।
তবে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সুত্র জানায় , পর্যাক্ত অনুদান না থাকায় সংস্কারে ধীর গতি দেখা দিয়েছে । তবে ভাড়ী পাথরের গাড়ি চলাচল করায় রাস্তাটি বেহাল দর্শা হয়েছে । সড়ক সংস্কারের এই ধীরগতির কারন জানতে চাইলে , কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী মোঃ সাইফ উদ্দিন জানান, টানা বৃষ্টি ও ভারী বর্ষনের রাস্তাটি বহাল দর্শা হয়েছে । রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হবে । অন্যদিকে রাস্তাটি ব্যবহারকারী জনগন জানায় , সংস্কারের কাজের মান একেবারেই নিরব থাকায় এই অবস্থা। এছাড়া পাথরের স্থানে ইট টেকসই না হওয়ায় ভারী যানবাহনের চাপে স্বল্প সময়েই সেগুলো ভেঙ্গেও যাচ্ছে।
কুমিল্লা জেলার এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়কটির বেহাল দর্শার কারনে প্রতিনিয়ত যেমন ঘটছে প্রানহানীর মত ঘটনা ,তেমনি গাড়ি বিকল হয়ে অনেকটাই দীর্ঘ যানযট সৃষ্টি হয় এই সড়কটিতে । তবে গত বুধবার দেবিদ্বার এর বারেরা এলাকায় বৈশাখী পরিবহন নামে বি-বাড়ীয়া থেকে ছেড়ে আসা যাত্রী পরিবহন কারী বাসটি খাদে পরে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে পানিতে ডুবে যায়।তবে যাত্রীদের উদ্ধারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে উদ্ধার কাজ প্রায় ৫ ঘন্টা সময় লাগে সংশ্রিষ্ট কতৃপক্ষের ,এতে অনেকটাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে যাত্রী এবং স্থানীয়রা।