অন্যায়ভাবে দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আদালতে যাবে ক্যাব: ড. শামসুল আলম
যে হারে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে তাতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে—বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় আসেনি- বলেছেন ভোক্তা প্রতিনিধিরা।
অযৌক্তিক ও অন্যায়ভাবে দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ভোক্তা অধিকার সমিতি- ক্যাব আদালতে যাবে বলে জানান এর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম।
আর প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রভাব সহনীয় থাকবে।
শুক্রবার সকালে বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল বিতরণকারী সংস্থাগুলো। বিপরীতে প্রতি ইউনিটে দাম ১ টাকা ৫৬ পয়সা করে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ভোক্তাদের সংগঠন ক্যাব। কিন্তু বিইআরসির রায়ে শেষ পর্যন্ত বহাল রয়েছে বিতরণকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তাবই।
তবে সরকারের দাবি, যৌক্তিকভাবেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। বিদ্যুতের দাম বাড়লেও এর খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব মানুষের উপর পড়বে না বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরীর।
বিদ্যুতের দাম বাড়লে শুধু বিলই বাড়ে না প্রত্যেকটি পণ্য ও সেবা উৎপাদনেই এর প্রভাব পড়ে। ফলে, বিদ্যুতের দাম বাড়ায় শিল্প পণ্য ও সেবার দামও বাড়ে। যার ব্যয়ভার বহন করতে হয় ভোক্তাদেরই। তাই প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টার বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন ভোক্তা প্রতিনিধিরা।
তার মতে, বিইআরসি ন্যায় বিচার করেনি। ন্যায় বিচারের জন্য ভোক্তা অধিকার সমিতি আদালতের শরণাপন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ক্যাবের এই জ্বালানি উপদেষ্টা।