বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালন
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর ডাক হরতালে তেমন প্রভাব পড়েনি রাজধানীতে। বৃহস্পতুবার সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে শাহবাগ, পল্টনসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় বাম দলগুলোর নেতাকর্মীরা। হরতালের মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির মত গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তারা।
তবে রাজধানীতে যানচলাচল ছিলো স্বাভাবিক। সহিংসতা এড়াতে তৎপর ছিলো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। পল্টন থেকে কয়েকজনকে আটক করা হলেও তাদের পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
আধবেলা হরতালে শাহবাগ মোড়, পল্টন, প্রেসক্লাব, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল করে সিপিবি-বাসদ, প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। এতে সমর্থন দেয় বিএনপি, বিকল্প ধারা, নাগরিক ঐক্য জেএসডি, তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
হরতালে রাজধানীর কোথাও গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি। তবে পুলিশের বাধার কারণে শাহবাগ মোড় ছেড়ে দিতে বাধ্য হন হরতালের সমর্থকরা। পুলিশ গাড়ি থেকে বিকট শব্দ তৈরি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে শাহবাগ মোড় ছেড়ে পাশেই সমাবেশ করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বাম নেতারা।
এদিকে, যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে হরতাল সমর্থকদের শাহবাগ মোড় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থার কথা জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এতে গ্রাহক শ্রেণি নির্বিশেষে প্রতি ইউনিট (এক কিলোওয়াট ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল ডাকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। বুধবার এ হরতাল পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।