বামন্দীতে একযুগ ধরে বেদখল হওয়া সরকারি ঘর বন্দোবস্ত দেওয়ার পরও দখলদারদের তান্ডব
মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা ১২ বছর ধরে সরকারি ভবন দখলদাররা পেশি শক্তির জোরে দখল করে আসছিল বামন্দী মৎস চাষ উন্নয়ন প্রকল্প (ইফাদ) এর ঘর। যার ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এমন অভিযোগ করে বামন্দী-নিশিপুর মৎসজীবী সমিতির সভাপতি হবিবর রহমান হবি বলেন, গত ২০০৬ সালে মৎস চাষ উন্নয়ন প্রকল্প (ইফাদ) এর আওয়তায় বামন্দী হাটের ভিতর একটি ঘর নির্মান করা হয়-মৎসজীবীদের জীবন মান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে। ৬ বছর ভালো ভাবে চললেও পরে তা টিকতে পারেনি ফলে ঐ ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়ে যায়। এর পরে যে যার মতো ইচ্ছা ভবনটিকে ব্যাবহার করতে থাকে। কেউ গোডাউন ,কেউ মুরগির ব্যাবসা আবার কেউ খড়ি রেখে ঘরটি পরিত্যাক্ত করে ফেলে বলে জানান মৎসজীবী সমিতির সভাপতি হবিবর রহমান হবি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন সরকারি জিনিস নষ্ট হয়ে যাবে আবার সরকার রাজস্ব হারাবে এ হতে পারেনা। তিনি এ কথা ভেবে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। আবেদনটির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মৎসজীবীর সভাপতি হবিবুর রহমানকে বন্দোবস্ত দেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।এর মাঝে ৫ বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় থেকে ঘরগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল বলে জানা যায়। হবিবুর রহমান বলেন ঘর নির্মানের পর থেকে বিনা বন্দোবস্তে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তারা ঘরগুলোকে ব্যাবহার করে আসছিলো। হবিবুর রহমান দাবি করেন সরকারের বিধান মেনেই আমি বন্দোবস্ত নিয়েছি। তিনি বলেন গত মঙ্গলবার জামায়াত বিএনপি’র প্রায় ২শ’জন ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র বোমা নিয়ে এই ঘরে এক ধরনের তান্ডব চালায়। ঐ সময় আমি সেখানে ছিলাম না। তাদের উদ্দেশ্যে ছিলো আমাকে হত্যা করার। ঘটনাস্থলে আমাকে না পেয়ে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই বিধি মোতাবেক আমার মৎসজীবী ভাইদের উন্নয়নের জন্য এই ঘরগুলো বন্দোবস্ত নিয়েছি। আর তারা সে আইন না মেনে আমাকে হত্যা করে এই ঘরটিকে দখল করে রাখার পায়তারা করছে যা কখনও কাম্য নয়। সাংবাদিকদের তিনি জানান, বামন্দীর মৃত রবগুলের ছেলে টুলু মুরগীর ব্যবসা করে,যুদ্ধাপরাধী মৃত আব্দুলের ছেলে ছিদ্দিক, খোদাবক্স’র ছেলে নাহারুল ,নজর সর্দারের ছেলে হাবিব ও চানের ছেলে সোহেল জোর করে গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করছে এছাড়াও ছাদের বক্স’র ছেলে চা ব্যবসায়ী মনির খড়ি রেখে ঐ ঘর দখল করে আছে। আমার বন্দোবস্ত নেওয়ার খবর পেয়ে তারা গত শুক্রবার বাজার কমিটির লোকজন ও ব্যবসায়ীরা বৈঠক করে বšেদাবস্ত’র কাগজ দেখার জন্য রবিবার আমাকে ডেকে পাঠালে কগজ পত্র নিয়ে সেখানে যায়। তারা কাগজ দেখে বন্দোবস্তর সত্যতা পায় বলে তিনি জানান। এর পরও তারা আমার কথা বিশ্বাস না করে ডিসি অফিসে যায়। পরে তারা স্বীকার করে যে কাগজ ঠিক আছে। এর পরও গত মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে বামন্দীর রবগুলের ছেলে কামাল, গরিপাকার ছেলে ইউনুছ, আছের মন্ডলের ছেলে আমিরুল ও আবুল চেরাগির ছেলে আলিম চেরাগির নেতৃত্বে প্রায় ২শ’ লোক লাঠি ফালা ও বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সেখানে তান্ডব চালিয়েছে বলে জানান হবিবুর রহমান হবি। এ ধরণের তান্ডব ও জবরদখল সহ আমাকে হত্যা চেষ্টার বিচার দাবি করেন বামন্দী ইউনিয়ন মৎসজীবী সমিতির সভাপতি হবিবুর রহমান হবি। বামন্দী ক্যাম্প ইনচার্জ হারুন-অর- রশীদ জানান, ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে উপস্থিৎ হয়ে আগত লোকজনদের সরিয়ে দিই। বর্তমানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত আছে।