লালমনিরহাটে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা না করার অভিযোগ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
বসত বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেও আইনী সহায়তা না করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও এখন পর্যন্ত কোন আইনী সহায়তা পায়নি ওই উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের টেপাটারী গ্রামের সুলতান হোসেনর স্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ আছিয়া বেগম।
অভিযোগে জানা গেছে, টেপাটারী গ্রামের প্রভাবশালী কোরবান আলী দীর্ঘ দিন ধরে সুলতানের পৈত্রিক সুত্রের জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার বৈঠক হলে জবর দখলকারী কোরবান আলী গংরা বৈধ্য কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপর দখলবাজ কোরবান আলী গত বুধবার সুলতান ও তার ছেলে আব্দুল কাদের রাজু'র বিরুদ্ধে মারামারির দায়ে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই বৃহস্পতিবার রাতে সুলতান ও কাদেরকে গ্রেফতার করেন। শনিবার বিকেলে তাদের বাড়ি ফাকা দেখে প্রতিপক্ষ কোরবান আলী দলবল নিয়ে দেশি অস্ত্রসস্ত্রসহ সুলতানের বাড়িতে হামলা চালায়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। তাদের বাড়িতে থাকা গরু তিনটিও নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় সুলতানের স্ত্রী আছিয়া বেগম বাদি হয়ে আদিতমারী থানায় ১২ জনের নামসহ অজ্ঞতনামা আরো ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দখলবাজদের কাছে মোটা অংকে টাকার বিনিময়ে পুলিশ নিরবতা পালন করছে এবং থানার অদুরের ঘটনা হলেও দীর্ঘ ২০ ঘন্টায়ও পুলিশ তদন্তে যায় নি বলে বাদিনীর অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শী আঃ রহমান ও মিনহাজুল জানান, ৫০/৬০ জনের একটি দল দা, লাঠি, রামদা নিয়ে বাড়িতে ঢুকে বাড়িঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে ৩ টি গরুও নিয়ে যায় তারা।
সুলতানের স্ত্রী আছিয়া বেগম জানান, কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা মারধর করে বাড়িঘরে হামলা চালায়। তাদের হাত থেকে তার বৃদ্ধ মাও রক্ষা পায়নি। থানায় ফোন করেও রক্ষা করা যায় বাড়িটি। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয় নি।
আদিতমারী থানা ওসি হরেশ্বর রায় পুলিশের বিরুদ্ধে আনীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই জায়গা থেকে বাড়িঘর সরানোর জন্য স্থানীয় বৈঠকে সুলতানকে লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা নেয়া হয়েছে।