গাংনী চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারের ৮ টি বৃক্ষ ধ্বংস দ্বায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ কিছুই জানেন না
এম এ লিংকন ,মেহেরপুরঃমেহেরপুরঃ মেহেরপুরের চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারের প্রায় ৮টি বড় বড় গাছ ইচ্ছাকৃত ভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। অথচ এখানকার দ্বায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ কিছুই জানেন না। আটটি গাছের মধ্যে শিশু মেহেগুনি ছাড়াও সাগুয়ান সহ আরো অন্যান্য গাছ রয়েছে। সরকারের সম্পত্তি রক্ষার জন্য যাদেরকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। গাছ গুলি পাট বীজ খামারের দক্ষিণ ব্লকের আওতায় রয়েছে। বর্তমানে গাছ গুলি শুধু মাত্র ঠাই দাড়িয়ে আছে। গাছে কোন প্রাণ নাই। মুল্যবান ঐ গাছগুলি জ্বালানি ছাড়া আর কোন কাজেই আসবে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাট বীজ খামারের সর্ব দক্ষিনে স্থানীয় কৃষক মোসলেম উদ্দিনের পুকুর পাড়ে অনেক গুলি ছোট বড় গাছ আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ও বড় গাছগুলি অভিনব কৌশলে মেরে ফেলা হয়েছে। গাছের গোড়ায় খুড়ে কার্বাইট দিয়ে তার ভিতর পানি দেওয়া হয়েছে এবং গাছের মুলে র একটু ওপরের দিকে দুই হাত থেকে তিন হাত পর্যন্ত ছেদ করে ছাল তুলে রাখা হয়েছে। এই ছাল তোলার কারণে গাছ তার মুল থেকে খাদ্য পাতা পর্যন্ত আনতে পারেনা তাছাড়া গাছের মুলে কার্বাইট দেওয়ার কারণে খুব দ্রুতই গাছের গোড়া দুর্বল হয়ে গাছ মারা যায়। এতো কিছুর ঘটে যাওয়ার পরও এই ব্লকে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ডিএডি এমদাদ হোসেন কিছুই জানেন না। জানতে চাওয়া হলে ডিএডি এমদাদ হোসেন বেশ টানা সুরে বলেন, “আমারতো জানা নেই, পরে দেখবো কতটুকু কী হয়েছে।” এ বিষয়ে তার দ্বায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি তা স্বীকার করে বলেন দ্বায়িত্ব আমার হলেও অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণে গাছ মারা যায়। গাছের চারিদিকে দুই আড়াই হাত করে ছাল তোলার বিষয়টি প্রাকৃতিক কারণে যে হয়না এটা অভিজ্ঞরা ভালো করে জানেন। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় চিৎলা পাট বীজ খামারের এছাড়াও ছোট বড় অনেক অনীয়ম হয়ে আসছে। ডিএডি এমদাদ এবং ডিএডি আব্দুল বাতেন একই জায়গায় প্রায় ১২ বছর চাকুরীর সুবাদে এখানকার কাজে খুব সহজেই অনীয়ম গুলো ঢাকতে পারেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানিয়েছেন। এদিকে ডিএডি এমদাদ ও ডিএডি আব্দুল বাতেনের দ্বায়িত্ব অবহেলার কারণে খামার ও সরকারের ক্ষাতি হলেও ঐ দু’ কর্তৃপক্ষের বেশ ভালোই লাভ হয় বলে জানা যায়। যে কারণে তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ এখানেই থাকতে চান। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চিৎলা পাট বীজ খামারের যুগ্ম পরিচালক দেলোয়ার হোসেন এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন নি।