আক্কেলপুরে ইয়াবা ট্যাবলেটের ছড়াছড়ি ঘুমহীন যুবসমাজ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছাঁয়ায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ নিরেন দাস।
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ১ রুকিন্দীপুর,২ সোনামুখি, ৩ গোপীনাথপুর, ৪ তিলকপুর, ৫ রাইকালী সহ আক্কেলপুর পৌর শহরে ইয়াবা ট্যাবলেটের ছড়াছড়ি হাত বাড়াইলেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, হিরোইন সহ সকল প্রকার মাদক কেননা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের আশ্রয়েই প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক বিক্রি।
সেইসব ভয়হীন মাদক ব্যবসায়ীদের সংখ্যা যেমন দিনদিন বাড়ছে ঠিক তেমনি এক গোপন জরিপ অনুযায়ী অন্যান্য মাদক সেবনকারীদের চেয়ে বর্তমানে আক্কেলপুর পৌর শহরেই ইয়াবা সেবনকারীদের সংখ্যা ৯০ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে এবং তারা ইয়াবা সেবন করে রাতজাগা পাখির মতো সারা রাত জেগে থেকে ঘুমহীনতায় ভুগছে সকল ইয়াবা সেবনকারীরা সাথে অশান্তিতে ভুগছে ইয়াবা সেবনকারীদের পরিবার।
জয়পুরহাট আক্কেলপুরে (চ্যানেল ফোর টিভির) বিশেষ এক জরিপে পাওয়া গেছে যে আক্কেলপুর উপজেলা সহ পৌর শহরে ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৮ ভাগ ইয়াবা সেবনকারী এবং ৯৮ ভাগের মধ্য ৮০ ভাগি তরুণ তরুণী যুব সমাজ ইয়াবা নেশায় আসক্ত হয়ে পরেছে।
জরিপে আরো পাওয়া যায় যে বর্তমান প্রেক্ষাপট যেভাবে চলছে তা দূত না থামালে যদি এভাবেই চললে থাকে তবে ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মুখে রয়েছে আগামী প্রজন্ম থাকবে না কেউ নেতৃত্ব দেয়ার।
আক্কেলপুর উপজেলায় ইয়াবা চ্যাবলেট ও হিরোইন বিক্রির বেপারে বিশেষ কয়েকটি গোপন জরিপের সূত্রধরে জানা যায়। মাদক সম্রাটদের নাম ও ঠিকানা যেমনঃ- আক্কেলপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা, মোঃ জহুরুল ইসলাম (৫৫) তাহার পুত্র জনি (২৫) মোঃ ফরুক মন্ডল (৩২) বুাবু হোসেন ওরফে খুটা বাবু (৪৭) শান্ত হোসেন (২৫) মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি (৩৪) রকিবুল ইসলাম রকিব (১৮) মোঃ মিন্টু হোসেন (৩২)।
পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়ার আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কমল এর বাড়ির পশ্চিম পার্শে পাতানিপাড়ার বাসিন্দা মোছাঃ লালবানু বেগম,(৪৫) মোঃ জাইদুই ইসলাম ওরফে বাটু মফিজ,(৩৭) মোঃ হামিদুল ইসলাম, (৪৫),নিশি বেগম (২০) সাজু, (২৪) শামিন হোসেন,(২১)।
পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম আমুট্রের বাসিন্দা, মোঃ জনি ওরফে মাদক সম্রাট জনি (৩০) মোঃ মাসুদ ওরফে লুন্ডি মাসুস (৪৩) মোঃ আনিসুর রহমান (৩০) মোঃ বাবু হোসেন ওরফে ঘোড়া বাবু (৪৫)।
পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের জিয়ানি পাড়ার বাসিন্দা, মোঃ মোন্টু মিয়া (৪৫) গোল্ডেন হোসেন (৩৪) মোঃ খোরশেদ (৩৫)।
পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের হাস্তাবসন্তপুরের বাসিন্দা, পুলিশের সোর্স নামে পরিচিত মোটরসাইকেলে করে ইয়াবা হোম সেলার মোঃ সুজন হোসেন ওরফে জুংলি সুজন (৩২) মোঃ সরোয়ার হোসেন (২৫) মোঃ মোরসেদ আলম (২৩) সোর্স।
আক্কেলপুর পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র চারটি ওয়ার্ডেই যদি এতোগুলি মাদক ব্যবসায়ী থাকে তবে আরো ৫ টি ওয়ার্ডে জরিপ করলে কতগুলি মাদক ব্যবসায়ী হতে পারে।
আর সবচেয়ে বড় বিষয় বর্তমানে আক্কেলপুরের মতো ছোট্ট একটি শহরে তাকালে মনে হয় এই শহর যেন দ্বিতীয় মায়ানমার যেখানে ইয়াবা ট্যাবলেটের ছড়াছড়ি হয়ে পরেছে যে শহরের পাড়া মহল্লায়, ফুটপাতের দোকানদার সেজে আবার কেউ অটোরিকশা চাকলের ভেসে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে।
যেসব দেখে সুশীল সমাজের সাধারণ জনগণ বলে এদের প্রশাসন কিছু বলে না কেন-? কথাটি সত্যি কেন এদের গ্রেপ্তার করা হয়না প্রশাসন সবকিছু যেনও নিরব কেন।
এমন জবাবে বেশি কিছু মাদক বিক্রেতার কাছে চ্যানেল ফোর টিভি পরিচয় গোপন করে মাদক কিনতে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। তারা নাকি প্রশাসন কে ম্যানেজ করে এবং স্থানীয় প্রভাবশালী দুই চারজন মাস্তান কে ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসা করছে তাই তারা প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে বলে জানা যায়। আরও জানা যায় সেইসব স্থানীয় মাস্তান প্রভাবশালীরা নাকি প্রশাসনের নাম বলে তাদের থেকে নগদ অর্থ সহ প্রতিদিন মাদক নিয়ে থাকেন।
যা জরিপে আক্কেলপুর থানার একজন কর্মরত অফিসার যিনি নাম প্রকাশে অইচ্ছুক যাহার সাথে কথা বলে জানা তারা মিথ্যা প্রশাসনের নাম ভেঙ্গে কিছু ইয়াবা সেবনকারী মাস্তানেরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন টাকা নিয়ে থাকে তা আমরা গোপন সংবাদে জেনেছি কিন্তু তাদের হাতেনাতে ধরতে আমরাও তাদের পিছনে সোর্স লাগিয়ে রেখেছি তিনি আরও বলেন প্রশাসন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নাই এটা