আশুলিয়ায় স্বল্প পুঁজিতে সাবলম্বী হচ্ছেন টার্কি ব্যবসায়ীরা
আব্দুস সাত্তার,সাভার-আশুলিয়া(ঢাকা)প্রতিনিধি:
আশুলিয়ায় স্বল্প পুঁজিতে সাবলম্বী হচ্ছেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টার্কি ব্যবসায়ীরা। দিন দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছে স্থানীয় টার্কি খামারীদের সংখ্যা।অল্প পুজিঁ থেকে এ ধরণের ছোট ছোট খামারীদের স্বপ্নগুলোতে যোগ হচ্ছে নতুন গতি।
বাঁধন এগ্রো ফার্ম নামের এরকমই একটি টার্কি খামার ব্যবসায়ীরা স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে টার্কি ব্যবসায় সাবলম্বী হয়েছেন।আশুলিয়ার নবীনগর নিরিবিলি এলাকায় লিজকৃত জমির ওপর টার্কি খামার শুরু করেন মোঃ অমিনুল ইসলাম নিরব, আরএইচ মামুন, শাহাদাৎ হোসেন সোহেল ও আসিফ খাঁন নামের চার বন্ধু।তারা চার বন্ধু মিলে ২০১৬ সালে মাত্র চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে এই খামার চালু করেন।শুরু করা টার্কি খামার তাদের পরিশ্রমে বর্তমানে পুঁজি দাড়িয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
সামনে এটি নিয়ে আরও বড় ধরনের চিন্তা ভাবনা করছেন এই টার্কি খামারিরা।যদিও এর পাশাপাশি তারা কোন সরকারী সহযোগীতা পান তাহলে এটি আরও সামনের দিকে একটি বড় ধরনের একটি খামার হবে বলে এই চার বন্ধু মনে করেন। এখানে বর্তমানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করছে এবং এটি বড় হলে আরও অনেক বেকারেরা এখানে কাজের সুযোগ পাবে।
খামারটির কর্মচারী আশরাফুল জানায়, লেখা-পড়ার পাশাপাশি আমি এই ফার্মে কাজ করছি। এখান থেকে যে পারশ্রমিক পাই তা দিয়ে লেখাপড়ার খরচসহ সংসার নির্বাহ করছি।
এখানে রয়েছে বিভিন্ন রংয়ের টারকীর মিলনমেলা।কোন টারকি বালু দিয়ে গোসল করছে, কেউ দল বেধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।আবার কেউ ময়ূরের মত তাদের পেখম মেলে একে অপরে মনের ভাব বিনিময় করছে।
রয়েল পাম, এরফল ব্রেঞ্জ, রেড বারবন ও হোয়াইট হল্যান্ড নামের চার প্রজাতির টার্কি রয়েছে এই ফার্মে।একদিন বয়সের টার্কি বাচ্চার মূল্য তিনশ টাকা,এক মাসের ৬০০, পয়তাল্লিশ দিনের ৭০০, দুই মাসের ৮০০, তিন মাসের ১২০০, চার মাসের ২ হাজার ও পাঁচ মাস বয়সের টার্কি ৩ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।এরা সাধারনত দুবলা ঘাস খেতে পছন্দ করে।তাই পোল্ট্রী মুরগীর খামারের চেয়ে টার্কি খামারে খরচ কম হয়ে থাকে।
খামার মালিক অমিনুল ইসলাম বলেন, এই টার্কি ফার্মটি আমি ও আমার ৩ বন্ধুদেরকে নিয়ে প্রথমে ছোট পরিসরে চালু করি।আজ সাবলম্বী স্থানে দাঁড়িয়েছে এই খামারটি।তবে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খামারটি আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।যারা বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা প্রথমে স্বল্প পুঁজি দিয়ে শুরু এই ব্যবসা ঠিকমত করতে পারলে পোল্ট্রি খামারের চেয়ে এ থেকে বেশী লাভবান হওয়া যাবে।
এদিকে দোসাইদ এলাকার আমির হোসেন সরকারের টার্কি খামারটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।মাত্র কিছুদিনের ব্যবধনে অনেক বড় পরিসরে এ খামারটি গড়ে তুলেছেন তিনি।এছাড়া নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে টঙ্গাবাড়ী বেপারীপাড়া এলাকার মো:হাবিব বেপারীর টার্কি খামারটি ক্রমেই টার্কির সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।