সিঙ্গাপুরের আবাসন, অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় সিঙ্গাপুরের আবাসন, অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠান। এজন্য সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চায় তারা। দেশটির অনেক ব্যাংকও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী।তাই মূলধন ও লভ্যাংশ ট্রান্সফারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং পলিসিসহ নানা বিষয় জানতে বাংলাদেশ সফর করছেন সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের একটি দল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব বিষয়ে জটিলতা দূর হলে বাংলাদেশে বড় অংকের বিনিয়োগ হবে।চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিঙ্গাপুর সফরে দু'দেশের বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সফরে এসেছে সিঙ্গাপুরের বিজনেস ফেডারেশনের ৩২ সদস্যের দল।দেশে-বিদেশে বিনিয়োগের জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের ৪০০ বিলিয়ন ডলারের সভেরিন তহবিল আছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বাণিজ্যিক সেতুবন্ধন তৈরি হলে এ তহবিল থেকে বিনিয়োগ হতে পারে বাংলাদেশেও।
বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের সাবেক সভাপতি মির্জা গোলাম সবুর বলেন, 'বাংলাদেশে যে মেগা প্রজেক্টগুলো হচ্ছে সেখানে সিঙ্গাপুর সরকারের যে সভেরিন ফান্ড আছে সেখান থেকে বিনিয়োগ করার সুযোগ করে দেয়া যায় কিনা সেটা দেখতে হবে।'ব্যক্তিখাতের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেও বিনিয়োগে করতে চান দেশটির ব্যবসায়ীরা।
সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের ডেপুটি মিশন লিডার প্রসূন মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগের অংশীদার হতে চাই। এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আমরা কোনো প্রস্তাব পাইনি। জ্বালানী এবং বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। এজন্য সিঙ্গাপুরের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেয়া হলে উপকৃত হবে বাংলাদেশ।'বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক নীতি, মূলধন ও লভ্যাংশ ট্রান্সফার সহজ করাসহ নানা জটিলতা দূর করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের নেতারা।
জটিলতা কমেছে দাবি করে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, অবকাঠামোখাতসহ কর্পোরেট ট্যাক্স কমায় আর্থিক খাতেও বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে দেশে। উন্নত দেশ হতে তৈরি করা হচ্ছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রকল্প।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, 'অর্থ লেনদেনে জটিলতা ছিলো। সেটা অনেক সহজীকরণ করা হয়েছে।'
বর্তমানে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে সিঙ্গাপুর থেকে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।