সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে না বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে না বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম। চলতি বছরের জুনের মধ্যে ৭০ লাখ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা থাকলেও গ্রাহক সংখ্যা এখনো ১২ লাখেই আটকে আছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, প্রাথমিক অবস্থায় পিছিয়ে থাকলেও শিগগিরই গতি আসবে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রমে। আর প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকদের জন্য খোলা বাজারে ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।বিদ্যুৎ সাশ্রয়, মিটার রিডারদের দৌরাত্ম্য কমানো, ভূতুড়ে বিলের বিড়ম্বনা থেকে গ্রাহকদের মুক্তি, আগাম বিল আদায় আর অপচয় রোধ, এমন সব ভাবনা থেকেই ২০১৫ সালে বাণিজ্যিকভাবে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।
লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ২ কোটি ২০ লাখ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনা। তবে সে পরিকল্পনার সঙ্গে বেশ তফাৎ রয়েছে বাস্তব চিত্রের। কথা ছিল, চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রি-পেইড মিটারের গ্রাহক ছাড়াবে ৭০ লাখ। কিন্তু সে অংক এখনো আটকে আছে ১২ লাখে।
প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা বিদ্যুৎ বিভাগের নীতি ও গবেষণা সংস্থা পাওয়ার সেল বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ধীরগতি থাকলেও শিগগিরই কেটে যাবে এ অবস্থা।
পাওয়ার সেলের মহা-পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই মেসেজটা পেয়ে গেছেন যে কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। এখনও পর্যন্ত যা দেরি হওয়ার হয়েছে এখন আর দেরি করার সুযোগ নেই।
তবে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন শুধুই বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে না রেখে খোলা বাজারে উন্মুক্ত করে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, এটা বাজারে ছেড়ে দিলে সেখান থেকে ভোক্তা কিনে এনে ব্যবহার করতে পারতেন। এতে ভোক্তার সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এছাড়া প্রি-পেইড মিটার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে রিচার্জ সেবা আরও সহজ করার পরামর্শও বিশেষজ্ঞদের।