এমপি লিটন হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি 4TV
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় আদালতে মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিসহ ২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানার আদালতে এ স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গাইবান্ধার পাবলিক প্রসিকিউটর শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন তার বাড়ির ড্রয়িং রুমে অবস্থানকালে একদল দুর্বৃত্ত ওই রুমে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই তিনি মারা যান। পরে তার ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়, হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী ছিলেন জাতীয় পাটি নেতা ওই এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকতা ডাঃ কর্ণেল আব্দুল কাদের খান। ওই চার্জশীটে হত্যাকান্ডে ৮ জনকে আসামি হিসেবে সনাক্ত করা হয়। পুলিশ কাদের খান সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও অপর আসামি চন্দন কুমার রায়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। সে ভারতে পালিয়ে গেছে।
আদালতে নিহতের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি সহ ৪ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করার কথা থাকলেও স্বাক্ষীদের মধ্যে আব্দুল কাফি বিদেশে অবস্থান করায় ও বেনজির আহমেদ লিংকন মারা যাওয়ায় নিহত এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও প্রতিবেশি আল ইবনে রাজ্জাক ওরফে নয়ন সহ ২ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। স্বাক্ষীরা হত্যাকান্ড পরবর্তী পরিস্থিতিসহ গুরুতর আহত এমপি লিটনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঘটনার বর্ণনা দেন। এ দু’জনসহ চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১১জন তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।