একটি ভুল সংখ্যা কেড়ে নিয়েছে জীবনের ২২ মাস
বিনা বিচারেই থাকতে হয়েছে কারাগারে। নারায়ণগঞ্জের মাশদাইল এলাকার কপিলউদ্দিনের পরিবার সেই ভুলের শিকার, আর সন্তানের শোকে মা হারিয়েছেন চোখের দৃষ্টি।
এমন ভুলের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ বলে মনে করে মানবাধিকার কমিশন।
২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার মাশদাইল এলাকার কপিলউদ্দীনকে পল্টন থানার একটি মামলায় আটক দেখিয়ে জেলখানায় প্রেরণ করেন নারায়নগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। মামলার হাজতি পরোয়ানায় দেখা যায় বিচারিক আদালতে যার নম্বর ১৭১৮/১৬।
এরপর ঢাকার আদালতে আসামি কপিলউদ্দিনকে গত বছর তিন দফায় আদালতে আনা হলেও মামলার নথি খুঁজে না পাওয়ায় আসামিকে পরে তলবের কথা জানানো হয়। এরপর চলতি মাসের ১২ তারিখে আসামীকে ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তোলা হলে আদালত দেখেন ১৭১৮/১৬ নম্বরে কোনো মামলাই নেই। এরপর সম্পৃক্ততা খুঁজে না পাওয়ায় আসামিকে মুক্তির আদেশ দেন।
দুই সপ্তাহের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সালের একটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে উপ-নথিসহ আসামি কপিলকে ঢাকায় পাঠানো হয়। নারায়ণগঞ্জের ডিসপ্যাচ শাখা থেকে ১৭১৮/০৬ এর স্থানে ভুল করে ১৬ লেখায় গড়মিল বাধে সেখানেই। আর এমন ভুলের শিকার হয়েই বিনা বিচারে ২২ মাস কাটাতে হয় কপিলকে।