রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। আহত হয়েছে আরো ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, পাল্লা দিয়ে বাস চালাতে গিয়ে একটি বাস রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। এতে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীদের মায়ের আর্তনাদ ভারী করে তুলেছে কুর্মিটোলা হাসপাতাল। আর সহপাঠিদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে দিশেহারা সবাই। হতবিহ্বল এ চেহারাগুলো যেন কোনো যুক্তি দিয়েই নিজেকে বোঝাতে পারছেন না।
রোববার (২৯ জুলাই) প্রতিদিনের মতো স্কুল শেষে বাসের জন্য বিমানবন্দর সড়কে অপেক্ষা করছিলেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে থাকা মিরপুর রুটের জাবালে নুর নামের একটি বাস উঠে আসে তাদের ওপর। মুহুর্তেই ওলটপালট হয়ে যায় সব কিছু।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্রী জানান, ‘আমরা সবসময় ব্রিজের এখানে দাঁড়াই বাসের জন্য। ওরা (বাসটি) রাস্তার পাশে যে গাছটা ছিল, সেটাসহ উপড়ে নিয়ে গেছে। ছয়জন পুরো শেষ।’
নিহত ছাত্রের এক সহপাঠী বলেন, ‘প্রচণ্ড গতি ছিল গাড়ি দুটোর। আমি ওকে বললাম, ভাই আমার সঙ্গে আয়। ও আমাকে বললো, কিচ্ছু হবে না, আমরা এখানে তো সবসময়ই দাঁড়াই। পেছনের গাড়িটা হঠাৎ করে এসে মেরে ফেললো। আমরা দেখিই নি বাসটা কোত্থেকে এলো। এতটাই গতি ছিল।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্র জানান, ‘রেস লাগিয়ে আসছিলো। একটা এসে ধাক্কা মেরেছে, দশ-পনের জনের উপরে বাসটা উঠে গেছে।’
ঘটনাস্থলেই মারা যান শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী দিয়া আখতার মিম। নিহত হন একই কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র রেজাউল করীম রাজু। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে নিয়ে আসা হয় সামরিক হাসপাতালে।
কুর্মিটোলা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৪ জন এসেছে। এরপর দুজন মারা গেছে। আর দুজনের অবস্থা খুব সিরিয়াস ছিল, সিএমএইচে পাঠিয়েছি। পরে আরও চারজনকে পাঠিয়েছি।’
এদিকে, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই এলাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।