শ্রীমঙ্গল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আজিজের দাপটে অতিষ্ট এলাকাবাসী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
শ্রীমঙ্গল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক এম.এ. আজিজের দাপট ও দুর্নীতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ ও অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ।
শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় গ্রাহকদেরকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে সমিতির পরিচালক পল্লী চিকিৎসক এম.এ. আজিজ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত পরিচালক দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে হয়রানি করছেন।
গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারছেন না। গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। পরিচালক এম.এ. আজিজ তার স্থানীয় সাতগাঁও বাজারে ডাঃ এম.এ. আজিজ পরিচালক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লিখে একটি সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছেন।
সাধারণ মানুষ সাইন বোর্ডে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক দেখে অফিসে না এসে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করে। এই সুযোগে তিনি তাদের নিকট থেকে হাতিয়ে নেন টাকা। সাতগাঁও ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের গরীব দিন মজুর টেনু মিয়া-কে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে তিন হাজার পাঁচশত টাকা নেন।
দীর্ঘ দিন তাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে সংযোগ দিতে পারেননি। পরবর্তীতে টেনু মিয়া এলাকার গন্যমান্য লোকের নিকট বিচার প্রার্থী হলে তিনি এক হাজার টাকা ফেরৎ দেন। টেনু মিয়া অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে পরে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পান।
শান্তিনগর বাজারের রিক্সা চালকের স্ত্রী তারা বানুকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে চার হাজার পাঁচশত টাকা নেয়। দূর্গানগরের ইয়াকুব আলীর নিকট থেকে এক হাজার পাঁচশত টাকা নেন। এভাবে অনেকের নিকট থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকারি রেলওয়ে লাইনের পাশে বসবাসকারী লোকজনের ঘরে জাল জমির ফর্সা ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন।
এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যেকোনো সময় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের জমিতে বসবাসকারী লোকজনকে উচ্ছেদ করে দিলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক নির্বাচনের ইস্তেহারে উল্লেখ আছে কোনো পরিচালক সাইন বোর্ড ব্যবহার করতে পারবে না।
নির্বাচনী ইস্তেহার লংঙ্গন করে তিনি পদবী উল্লেখ করে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছেন। পল্লী চিকিৎসক হয়েও তার নামের পূর্বে ডাক্তার পদবী লিখেছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তার দাপটে অতিষ্ট। তার অন্যায় আবদার কেউ না রাখলে তাকে তার সরকার দলীয় পদবীর পরিচয় দিয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।