সিলেটে 'হ্যাট্রিক' করলেন সাংবাদিক রেজওয়ান
হুমকি-ধমকির এক পর্যায়ে ভোট কেন্দ্রটিও দখল করে নিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থী, যুবলীগ নেতা রিমাদ আহমদ রুবেল। প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট নগরীর খাসদবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দখলে রেখে নিজের কর্মী সমর্থক আর সন্ত্রাসীদের নিয়ে নিজ প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ভরালেন। এমন ঘটনা ঘটেছে হাজারীবাগ এলাকায়ও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে।
কিন্তু সব ভয়কে জয় করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের ভোটাররা। নিজেদের কাউন্সিলর হিসাবে তারা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত করেছেন এমন একজনকে- যার পেশাই হচ্ছে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা আর মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরা।
সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের প্রথম স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সদস্য রেজওয়ান আহমদ এখন হ্যাট্রিক ম্যান। টানা ৩ বার তিনি এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ওয়ার্ডে তার জনপ্রিয়তার অনন্য এক দৃষ্টান্তও ভোটাররা স্থাপন করেছেন সোমবার।
নির্বাচনের একদিন আগেও তিনি সহকর্মী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করতে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এসেছিলেন। বলে গিয়েছিলেন ভীতি প্রদর্শনসহ আরো নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কথা।
তবে, কোন দুর্নীতি বা ভয় ভীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেননি ৫নং ওয়ার্ডের সচেতন মানুষ। নিজেদের প্রতিনিধি হিসাবে তারা পরিচ্ছন্ন, কর্মঠ ও নীতিবান এই সাংবাদিককেই আবার সিটি কর্পোরেশনে পাঠালেন। অবশ্য তৃতীয়বার না হয়ে সেটা হতে পারতো চতুর্থবারের মতো।
কিন্তু তা বলা যাচ্ছে না, কারণ ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে রেজওয়ান আহমদ পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর আর পিছন তাকাতে হয়নি রেজওয়ান আহমদকে। ২০০৮ ও ২০১৩ সালের সিসিক নির্বাচনে তিনি বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের ওয়ার্ডের সর্বস্থরের মানুষের যেকোন সমস্যায় নির্ভরতা প্রতীক হয়ে তাদের পাশেই থেকেছেন। ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি তিনি পানি, ড্রেনেজ সমস্যাসহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন একটি ওয়ার্ড গঠনে মূল্যবান অবদান রেখেছেন। তারই মূল্যায়ন করলেন ওয়ার্ডবাসী। ভয়-ভীতি আর সন্ত্রাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আবারও তারা সাংবাদিক রেজওয়ান আহমদের দায়িত্বশীল কাধেই অর্পণ করলেন নিজেদের এলাকার ভবিষ্যৎ।