নারী কেলেঙ্কারির হোতা সেই রাফিজুল গাংনী থানা পুলিশের হাতে গাঁজা সহ গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধি
একাধিক নারী কেলেঙ্কারির হোতা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের রাফিজুল ইসলাম ওরফে লাল গাঁজা সহ গাংনী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার সাহারবাটি ইবাদত খানা এলাকা থেকে তাকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এসময় তার কাছ থেকে ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ওসি তদন্ত আরো জানান, রাফিজুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়ার নামে একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর মামলা রয়েছে। রাফিজুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়ার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। থানা সুত্রে আরো জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, লাল মিয়া গাঁজা বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে সাহারবাটি ইবাদত খানা এলাকায় অবস্থান করছিল।
এমন সময় এসআই জাফর ইকবাল এর নেতৃত্বে এএসআই শরিফুল ইসলাম, এএসআই রফিকুল ইসলাম, এএসআই আহসান হাবিব সহ সঙ্গীয় ফোর্স সহ তাকে আটক করে এসময় তার কাছ থেকে ১শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তার নামে গাংনী থানায় মাদক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৪।
উল্লেখ্য, এর আগে জুলাই মাসের দিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে এক কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে তার নিজ গ্রাম বাহাগুন্দার বাড়িতে এনে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে ৪ দিন ধরে ধর্ষন করে। এ বিষয়ে রাফিজুলের চাচাত বোন কাকলি খাতুন সহ তার নামে গাংনী থানায় একটি ধর্ষন মামলা হয়।
ঐ মামলায় তার বোন গ্রেফতার হলেও রাফিজুল পালাতক ছিল। এছাড়াও জোড়পুকুরিয়া গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে নিয়েও রাফিজুলের নামে একটি ধর্ষন মামলা হয়। এছাড়াও রাফিজুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়া এলাকায় বহু অপকর্মের হোতা হিসেবে পরিচিত। তার এই অপকর্ম থেকে রক্ষা পেতে কখনও সাংবাদিক আবার কখনও বড় অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসত। এলাকাবাসি তার গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে আনন্দ উল্লাস করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, রাফিজুলের ভয়ে আমরা সব সময় আতংকের মধ্যে থাকি। এলাকাবাসি তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দাবি করেছেন।