কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কুষ্টিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য ২০ হাজার খামারে ৯০ হাজার গরু পরিচর্যা করছেন খামারিরা।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো কুষ্টিয়ার খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে পশু পালন করছেন। তবে, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের বদলে লোকসানের আশংকা করছেন খামারিরা।জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, গো খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দ্রুত মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।
দেশীয় পদ্ধতিতে কুষ্টিয়ায় খামরিরা কাঁচাঘাস, খড়, ভূষি দিয়ে গরু লালন পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে গত দু'মাসে বস্তা প্রতি গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে ৩শ ৫০ টাকা থেকে ৪শ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। গরুর ন্যায্য দাম না পেলে লাভের বদলে ক্ষতির আশংকা করছেন তারা।
খামারিরা বলেন, 'চালের দাম আগে ছিল ১৫০০ থেকে সাড়ে ১৫০০ এখন ১৭০০। সব কিছু মিলে খরচ হয়ে যাচ্ছে বেশি। গরু যদি সব বিক্রি হয় আসল টা উঠে আসবে। লাভ খুব একটা হবে না। সরকার মনিটরিং করলে আমরা কিছুটা লাভ করতে পারবো নতুবা না।'
তবে গো-খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের এর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান বলেন, 'গো খাদ্যের দাম যাতে স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে সে ব্যবস্থা আমি নিব। অবৈধ ভাবে যাতে মজুদ না হয় তা মনিটরিং করা হচ্ছে।'
কুষ্টিয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, ঈদকে কেন্দ্র করে ২০ হাজার খামারে ৯০ হাজার গরু পরিচর্যা করছেন খামারিরা।