বেনাপোল চেকপোষ্টে যাত্রীদের নগ্নকরে তল্লাশী
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্টে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন রামের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ইচ্ছেমত পাসপোর্টযাত্রীদের হয়রানী ও সন্মান হানী করছে। অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীদের নগ্ন করে তল্লাশী করছে পুরো শরীর। গোপনাঙ্গেও হাতদিতে দ্বীধা করছেনা।তল্লাশীতে মেয়েরাও বাদ পড়ছেনা বলে অভিযোগ। এতে অভিজাত পরিবারের সদস্যরা পড়েছে বেকায়দায়। সাধারন যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এই বিষয়টি নিয়ে।
ভারত ফেরত যাত্রী মুন্সিগঞ্জের আব্দুল হালিম, ঢাকার আবুল কালম বলেন তারা গতকাল শনিবার ট্যুরিষ্ট ভিসায় বেনাপোল দিয়ে এই প্রথম ভারত ভ্রমন করতে যাওয়ার সময় বেনাপোল কাস্টমসে প্রবেশ করলে তাদেরসহ আরো ৬ জনকে ডেকে কাস্টমস অফিসের দোতলায় নিয়ে যায়। সেখানে ডেপুটি কমিশনার পরিচয়ে জাকির হোসেন মধ্যেযুগীয় বর্বরতার মত তাদের বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করে। তাদের কাছে ডলার স্বর্ন আছে কিনা কি করতে ভারত যচ্ছে দেশের কোন তথ্য পাচার করছে কিনা যত সব উদ্ভট প্রশ্ন করে তাদের। একপর্যায়ে তাদের শরীরের সব কাপড় খুলে তল্লাশি শুরু করেন। তার নির্দেশে নেম প্লেট বিহীন একজন সিপাই জাঙ্গিয়া সহ তাদের গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে সেখান থেকে হালিমকে নিয়ে বেনাপোল বাজারের দিকে একটি ক্লিনিকে গিয়ে তার পেট এক্সরে করে। তাদের কাছে কিছু না পেয়ে দুঘন্টাপর তাদের ছেড়ে দেয়।
আবুল কালাম বেনাপোল চেকপোষ্টে কান্নাজাড়িত কন্ঠে বলেন, যদি ব্যাংকের ট্যাক্স না কাটতাম তাহলে আর ভারত যেতাম না। বাড়ি বলে এসেছিলাম এক সপ্তাহ ভারতের দার্জিলিং সহ অন্যান্য জায়গায় ঘুরে আসব। কিন্তু বেনাপোল কাস্টমসের মধ্যেযুগীয় বর্বরতার কারনে বাধ্য হয়ে ভারত গিয়ে বনঁগাও শহর থেকে ফিরে আসলাম।
এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন আমার এখানে কোন পাসপোর্টযাত্রী হয়রানি নেই। নিয়ম অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত পাসপোর্টযাত্রীদের সেবা প্রদান করা হয় তবে পুর্বের চেয়ে পাসপোর্টযাত্রী অনেক কমেগেছে। আগে ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাওয়া আসা করতো এখন ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজারে নেমে এসছে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমসের দায়িত্বরত সুপার আযম বলেন, আমি এ বিষয় কিছু বলতে পারব না। আপনারা ডিসি স্যারের কাছে জানেন। তিনি বলেন যখন লোকজন উপরে ছিল আমি আমার কাজে নীচে ব্যাস্ত ছিলাম। আমি কিছু জানি না।
ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেনকে এই নাম্বারে ০১৭১৭৫৪০২৭৩ বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
একটি সুত্র জানায় গত দুই সপ্তাহ ধরে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নানাভাবে পাসপোর্ট যাত্রীদের হয়রানি ও দিগম্বর করছে। তিনি কাস্টমস বাউন্ডারির ভারত গমন গেট থেকে যাত্রীদের তার রুমে নিয়ে উলঙ্গ করে তল্লাশি করছেন। যা সভ্য সমাজে কারো কাম্যনা। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া তিনি নিজ ক্ষমতাবলে এ ধরনের কাজ করছেন। যার ফলে বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টযাত্রীর সংখ্যা দিনে দিনে কমে এসেছে।
উল্লেখ্য কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা জারী করেছেন গত দুই সপ্তাহ আগে।