বোয়িং-৭৮৭ তৈরিতে যুক্ত বাংলাদেশি অ্যারোনেটিক আরিফ রেজা
বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বোয়িং এর ৭৮৭ ড্রিমলাইনার তৈরি ও নকশায় যুক্ত রয়েছেন বাংলাদেশের এক অ্যারোনেটিক ইঞ্জিনিয়ার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা এই তরুণ যুক্তরাষ্ট্রের সেরা অ্যারোনটিকাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা শেষে এখন কাজ করছেন বিশ্ব বিখ্যাত বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এ। সর্বাধুনিক মডেলের উড়োজাহাজ ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ডিজাইন ও কাজের সাথে যুক্ত থাকলেও এখন তিনি কাজ করছেন বোয়িং এর সর্বশেষ সিরিজ ৭৭৭ এক্স তৈরির কাজে। স্বপ্ন বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে গৌরবের সাথে তুলে ধরা।
বাংলাদেশি বংশদ্ভুত উড়োজাহাজ প্রকৌশলী আরিফ রেজা যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এয়ারলাইন্সে কর্মরত। যার পড়াশুনার শুরুটা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে। পরে স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন বাংলাদেশি মেধাবী এই তরুণ। ছোটবেলার ইচ্ছা আর প্রচন্ড আগ্রহ থাকায় অবশেষে সুযোগ পান যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অ্যারোনটিকাল বিশ্ববিদ্যালয় এমব্রি রিডেল থেকে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার। এরপর কাজ শুরু করেন বিশ্ব বিখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এর সাথে।যুক্ত হন ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের নকশা ও নির্মাণ কাজে। আর বিশ্বের অত্যাধুনিক এই মডেলের উড়োজাহাজ চলবে বিমান বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে, এতে গর্বিত তিনি।
দি বোয়িং কোম্পানির এয়ারপ্লেন লেভেল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার আরিফ রেজা বলেন, আমরা স্কেয্যুাল দেখছিলাম, হঠাৎ করে চোখে পড়ল বিএনজি, আমি বললাম এটা কোন দেশ, পরে দেখি বাংলাদেশ। দেখে অনেক খুশি হই আমার দেশের মাটিতে এই উড়োজাহাজগুলো যাবে। এই উড়োজাহাজগুলো সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এছাড়াও অনেকে দেশে সেভেন এইট সেভেন নেই। তবে, এই বিমানে নিজেকে জড়িত ছিলাম বলে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
সর্বাধুনিক এই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য দেশিয় কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ জরুরী বলে জানান আরিফ রেজা। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিমান এই বিমানগুলো থেকে অনেক বেনিফিট পাবে। ৭৮৭ এটা কম্পোজিটেট দিয়ে তৈরি, লাইট ওইথ এ্যারোপ্নেন। তবে, এটির দেখাশুনার জন্য সকলের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
অবশ্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব জানিয়েছেন, বোয়িং কোম্পানির অত্যাধুনিক এই উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য পাইলট, কেবিনক্রু ও অন্যান্য কর্মীরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষ করেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনের সচিব বলেন, এই বিমানটি পরিচালনার জন্য আমাদের যে প্লাইলট রয়েছে, তারা যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ। ত্রিপল সেভেন ত্রি হ্রান্ডেন (৭৭৭৩০০) বা ৭৮৭ এর সঙ্গে বেশি পার্থক্য নেই। এছাড়াও যে পার্থক্যগুলো রয়েছে, সেইগুলো তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর দুটি এবং আগামী বছর আরো দুটি, মোট ৪টি ড্রিমলাইনার-৭৮৭ বিমান বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।