রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ
পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। আর রেলপথে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা। নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর ট্রেন ছাড়লেও সিডিউলে তেমন বিপর্যয় দেখা যায়নি।
ঈদ উদযাপনে বাড়ির পথে যাত্রা শুরুর খুশি যাত্রীদের চোখে মুখে। বাস টার্মিনালগুলো থেকেও ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের বাস। তবে এখনো ভিড় জমেনি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।
সড়কপথে যানজট আর ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই ট্রেনে যাতায়াত স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ মনে করেন। সেই ভাবনা থেকেই প্রতিবছর ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি চাপ ট্রেনের ওপরই পড়ে।
অতিরিক্ত যাত্রীদের যাতায়াত সেবা দিতে বরাবরের মতো এবারও বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে রেল মন্ত্রণালয়। ৮ আগস্ট যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকেট পেয়েছিলেন তাদের ঈদযাত্রা শুরু হলো শুক্রবার সকাল থেকে।
বরাবরের মতো এবারও রেলের টিকেট পাওয়া নিয়ে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়লেও শেষ পর্যন্ত স্বস্তিই প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
ঈদের আনন্দ স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার খুশি যাত্রীদের চোখে মুখে। দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
পরে সাংবাদিকদের জানান, সীমিত সম্পদ দিয়েই বিশাল সংখ্যক যাত্রীসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে রেল মন্ত্রণালয়।
এদিকে, বাস টার্মিনালগুলোতেও ভিড়। ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিয়ে সকাল থেকেই ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের বাস। রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাস সার্ভিসগুলোর খোঁজ-খবর নিতে মহাখালি বাস টার্মিনালে যান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।