ঈদে বেড়াতে পারেন সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর,পর্যটন স্পটে গুলোতে
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ
ঈদের ছুটিতে বেড়াতে পারেন হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের ভারতের খাসিয়া,মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হাওর আর পাহাড়ের মিলনে সমৃদ্ধ তাহিরপুর ও দোয়ারাবাজার এ দু-উপজেলার পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারনে পদচারনায় মুখরীত হয় পর্যটন গুলো প্রতি বছরেই। তবে সারা বছরেই এই পর্যটন স্পট গুলো শিক্ষার্থী,সামাজিক,সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি,দেশ-বিদেশের সুন্দর্য পিপাসু ও প্রকৃতিক প্রেমীদের সাথে সাথে স্থানীয় সকল বয়সের জনসাধরনের পদচারনায় মুখরিত থাকলেও বছরের দুটি প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় পর্যটক,সৌন্দর্য পিপাসুসহ সবার উপস্থিতিতে দৃষ্টি নন্দন স্থান গুলোতে মিলন মেলায় পরিনত হয়।
এখানে ঈদ উৎসব ছারাও ছুটির দিনে আসেন সহ¯্রাধিক পর্যটক। কেউ মটর সাইকেলে,কেউ সিএনজি,কেউ স্পীড বোডে আবার কেউ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় দলবেধে ছুটছে।
তাহিরপুর উপজেলায় রয়েছে-মাদার ফিসারিজ খ্যাত টাংগুয়ার হাওর বাংলাদেশের বুকে এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম,সীমান্ত ঘের্ষা ৩শত ফুট উচ্চতার বারেক টিলা,উপজাতিদের মন্দির,মেঘালয় পাহাড়ের জলপ্রপাত,শাহ আরফিন (রা) আস্তানা,সনাতন হিন্দু-ধর্মাবলাম্বীদের পনর্তীথ স্থান,উঁচু নিচু পাহাড়ের সারি,গন-সবুজের সমারোহ,ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্প,সীমান্ত লেক,৩টি শুল্ক ষ্টেশন (চারাগাঁও,বড়ছড়া,বাগলী),মুক্তিযোদ্ধের সৃত্মি চিহ্ন,ছোট বড় ২০টি ভারতের মেঘালয়ের বুক চিড়ে নেমে আসা পাহাড়ী ছড়া,রাজা উইক্লিবস এর বাড়ি,আওলী জমিদার বাড়ি,পাহাড়ী যাদুকাটা নদী,ঝর্না,মেঘ,বৃষ্টি,উপজাতি ও বাংলাদেশীদের একত্রে বসবাসের এক মিলন মেলা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলায়।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় রয়েছে-বাঁশতলা,হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ,জুমগাঁও আদিবাসীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো যা পর্যটকদের কে নয়ানাবিরাম,নৈসগির্ঘ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ করায় বার বার আত্মতৃপ্তি টানে আসছেন দেশ-বিদেশী হাজার হাজার দর্শনার্থী। অনেকেই ঐসব স্থানে গিয়ে তুলছেন সেল্পি আর অনেকেই একান্তে বসে আছেন আবার অনেকেই বসিয়েছেন মন খুশি আড্ডা।
সবার আর্কশন টাংগুয়ার হাওর। এ হাওরের একটি প্রবাদ আছে-নয়কুড়ি বিল,ছয় কুড়ি কান্দার সমন্বয়ে গঠিত শত বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই টাংগুয়ার হাওরে নানান প্রজাতির বনজ ও জলজ প্রানী এ হাওরের সৌন্দর্য কে আরো দর্শনীয় করেছে। বর্ষায় টাংগুয়ার হাওর এক বিশাল সমুদ্রের রুপ ধারন করে আর শীতের সময় টাংগুয়ার হাওর কে আরো আকর্শনীয় করে তুলে। তাই বছরের দুটি ঈদ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় পর্যটক ও দর্শনার্থীদের আগমন বেশি লক্ষ্যনীয়।
এবারও তার ব্যাতিক্রম হবে না ধারা স্থানীয় এলাকাবাসীর। শিশু থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী হাজার হাজার মানুষের আগমনে এক মিলন মেলায় পরিনত হবে টাংগুয়ার হাওরসহ জেলার ঐ সব দর্শনীয় স্থান গুলো।
এবার হাওর পাড়ে একমাত্র বোরো ধান গোলায় তুলতে পারায় সবার মনে ঈদের আনন্দ রিবাজ করছে। হাওর পাড়ের সংগ্রামী,পরিশ্রমী মানুষ গুলো একটু আনন্দ খুজাঁর চেষ্টায় অনেকেই বেড়িয়ে পড়েন ঐসব দর্শনীয় স্থান গুলো দেখে একটু প্রশান্তি আর আনন্দের খুঁজে। জেলাবাসী ক্ষোবের সাথে জানান-নিবার্চন আসলে নেতা-নেত্রীদের মুখে শুধু আশার বানী শুনতে পাই কাজের বেলায় কিছুই নাই। আমরা শুধু কি আশার বানী শুনতেই বেচেঁ আছি। এখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন হবে বলে শুনছি অথছ এখনো কোন কাজের লক্ষ্য দেখছি না। অথছ ঈদ ও ছাড়াই এ প্রতিদিন দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে হাজার হাজার মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও থাকা খাওয়ায় ভাল সুযোগ না থাকার পরও আসছে সত কষ্ট সহ্য করে।
এ উপজেলার দর্শনীয় স্থান গুলোতে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থী সৌরভ দাস,নাজির হোসেন,নাইম,মেহেদী হাসান ভুঁইয়া (জনমেজর) সহ অনেকেই জানান-তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন সমৃদ্ধ ও দৃষ্টি নন্দন স্থান গুলো ঈদ কে সামনে রেখে হাজার হাজার পর্যটক ও সুন্দর্য পিপাসুগন গঠবে। এখানে এসে অনেকেই কষ্টের মাঝে একটু মনের আনন্দের খোঁজ পায়। দেখতে ভাল লাগে তাই আমরা এসেছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ঈদের দিনেও আসব হাজার হাজার মানুষের আগমনে মিলন মেলায় পরিনত হবে এবারও টাংগুয়ার হাওর,বারেকটিলায় সহ অন্যান্য দর্শনীয় স্পট গুলো।
এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন,থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের এখানে বেড়াতে আসা কষ্টের হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি জানান-ঈদে ও ছুটির দিনে এ উপজেলার প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয়ের টানে হাজার হাজার পর্যটক আসেন আসেন ঈদের ছুটিতেও। টাংগুয়ার হাওর,যাদুকাটা নদী,শিমুল বাগান ও বারেকটিলা তাহিরপুর উপজেলার আকর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উপযোগী স্থান এখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা এখন সময়ের দাবী। পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন হলে তাহিরপুরের স্থানীয় জনসাধারনের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের সুযোগ ও স্থানীয় বেকার যুবকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কিভাবে যাবেনঃ রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের বাস সার্ভিস আছে সুনামগঞ্জ জেলা পর্যন্ত। তার পর সিএনজি,লেগুনা ও ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেলে তাহিরপুর উপজেলায়। তার পর বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যাওয়ার সুবিধা রয়েছে।