চারটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিলেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী (২০১৮-১৯) শিক্ষাবর্ষ থেকেই পাঁচটি নতুন মেডিকেল কলেজে আড়াইশ’ শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। ইতিমধ্যে চারটি মেডিকেল কলেজ চালুর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নওগাঁ, নেত্রকোণা, মাগুরা ও নীলফামারীতে এই চার মেডিকেল কলেজ হবে। এছাড়াও বাকি একটি মেডিকেল কলেজ অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন। এটি প্রতিষ্ঠিত হবে চাঁদপুরে।
রোববার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুত হিসেবে বিভিন্ন জেলায় নতুন করে চারটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এসব মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী, বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হবে। সে লক্ষেই আমরা নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ তৈরি করেছি।’
আগামী নভেম্বরের মধ্যে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ৭ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের চিকিৎসাসেবায় সংকট দূরীকরণে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে উত্তীর্ণ সবাইকে দেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে নিয়োগ দেয়া হবে। সেখানে তিন বছর তাদের বাধ্যতামূলক চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘রাজধানীবাসীর জন্য ঢাকার শাহবাগে ৫০০ শয্যার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ নতুন একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করা হবে। আগামী ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেডিকেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। কোরিয়া সরকারের আর্থিক সহায়তায় এ হাসপাতালটি তৈরি করা হবে।’
চাঁনখারপুলে নির্মাধিন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘আগামী অক্টোবর মাসে এটির উদ্বোধন করা হবে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ইনস্টিটিউট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।’
স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা অনেক উন্নত হয়েছে। এখন বিদেশ থেকেও চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসে। ক্যান্সারের অনেক রোগী বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নেন।’
এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য সেবা ও পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব কাজী আ খ ম মুহিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।