বাস-ট্রাক চালাতে পারবেন মাঝারি যানবাহনের চালকরা
বাস, ট্রাক ও লরির মতো ভারী যানবাহন চালানোর সুযোগ পেলেন মাঝারি যানবাহনের চালকরা। আর প্রাইভেটকারসহ ছোট যানবাহনের চালকরা চালাতে পারবেন মাঝারি যানবাহন।
এক্ষেত্রে চালককে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমোদন নিতে হবে। দেশে চালকের সংকট থাকায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর চালকের যোগ্যতার শর্ত শিথিল করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সোমবার বিআরটিএর ওয়েবসাইটে এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে ভারী ও মধ্যম শ্রেণির মোটরযানের তুলনায় ভারী ও মধ্যম মানের ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালকের সংখ্যা অপ্রতুলতার কারণে যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযানের স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকারে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিআরটিএর সূত্রে জানা গেছে, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জিপ, ছোট ডেলিভারি ভ্যানসহ এ জাতীয় গাড়ি হালকা যানবাহন হিসেবে গণ্য করা হয়। আর মিনিবাস, মিনিট্রাক জাতীয় গাড়ি মাঝারি ও বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি জাতীয় গাড়ি ভারী যানবাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গাড়ির মান অনুযায়ী লাইসেন্সধারী চালক থাকার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ ট্রাক, লরি, বাসের জন্য ভারী যানবাহন চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালক থাকতে হবে। এ শর্ত শিথিল করা হলো। এর ফলে মিনিবাসের চালক বড় বাস ও ট্রাক চালানোর সুযোগ পেলেন। আর প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের চালক মিনিবাস চালাতে পারবেন।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপরিবহনে ড্রাইভার হিসেবে নিয়োজিত যে ব্যক্তির হালকা মোটরযান চালানোর বৈধ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে এবং ওই লাইসেন্সের মেয়াদ ন্যূনতম একবছর পার হয়েছে সেই ব্যক্তি তার লাইসেন্স মধ্যম শ্রেণির মোটরযান সংযোজনের জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন।
একইভাবে মধ্যম শ্রেণির মোটরযান চালনায় বৈধ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীর মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হলে সে ভারী মোটরযান সংযোজনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্সে মধ্যম বা ভারী মোটরযান সংযোজনের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মোটরযান চালনানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন, সাইন-সিগন্যাল, বিধি-বিধান ও প্রচলিত সরকারি নিয়ম-নীতি ও নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করার কথাও বলা হয়েছে।