কারাগারের অভ্যন্তরে আদালত বসিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার হবে।
বেগম জিয়া যে কারাগারে আছেন, সেই কারাগারের অভ্যন্তরে আদালত বসিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার হবে। মঙ্গলবার( ৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিরাপত্তার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দুদক আইনজীবী জানান, এরফলে বিচারকাজে স্থবিরতা কেটে যাবে। এদিকে, কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচারের এ সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলছে বিএনপি। তবে সিদ্ধান্ত সংবিধান সম্মত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার ৫ বছরের সাজা হওয়ার পর স্থবির হয়ে যায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, বেগম জিয়ার অসুস্থতা ও আদালতে আসতে অনিহার কারণে এ মামলায় তাকে হাজির করা যায় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে এ মামলার বিচার কার্যক্রম।
এ প্রেক্ষাপটে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে অস্থায়ী আদালত বসিয়ে মামলার বিচার কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলো সরকার। মঙ্গলবার জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে এ সিদ্ধান্ত। দুদক আইনজীবী বলছেন, বুধবার থেকেই এখানেই মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তকে বে-আইনি হিসেবে দেখছে বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল বলেন, 'এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংবিধানের ধারা ৩৫ মতে এই ধরনের মামলা প্রকাশ্যে হতে হবে। কোন ধরনের ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে হওয়া যাবে না।'
অন্যদিকে আইনমন্ত্রী বলেন সংবিধানের কোন লঙ্ঘন হয়নি। তিনি আরও বলেন, 'আইনেই আছে। কোর্ট অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ৯ ধারা পড়লেই সবাই বুঝতে পারবে।'
এতোদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ চলছিলো রাজধানীর বকশিবাজারের আলীয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে। মামলাটির বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে মামলাটি করে দুদক।